Samakal:
2025-04-17@17:08:34 GMT

টি২০ দিয়ে মৌসুম শুরুর প্রস্তাব

Published: 18th, February 2025 GMT

টি২০ দিয়ে মৌসুম শুরুর প্রস্তাব

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতিদের মতবিনিময় নতুন নয়। তবে অধিনায়কদের মতামত জানতে চেয়ে একসঙ্গে বসার ঘটনা নতুন। দেশের ক্রিকেটের বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মতবিনিময় করেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। মতবিনিময় সভা হলেও অলিখিত মিটিংও বলছেন কেউ কেউ। কারণ বিসিবি সভাপতি অধিনায়কদের কাছে বিপিএল, জাতীয় লিগ, ঢাকা লিগ, স্কুল ক্রিকেটের মানোন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চেয়েছেন। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে অধিনায়করাও নিজেদের মতামত দিয়েছেন। তাদের বেশির ভাগের চাওয়া টি২০ ক্রিকেট দিয়ে মৌসুম শুরু করা। আইএল টি২০ ও এসএ২০ লিগের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে বেশির ভাগের পরামর্শ বিপিএলের স্লট এগিয়ে আনার পক্ষে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে বিপিএলের স্লট দেওয়া আছে ডিসেম্বর-জানুয়ারি। এই স্লট ২০২৭ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানান বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। তাই বিপিএল স্লট নভেম্বর-ডিসেম্বরে আনতে হলে নতুন করে আইসিসির অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপার আছে। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার জানান, বিসিবি সভাপতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে স্লট নিয়ে কথা বলতে চান। 

তিনি বলেন, ‘ফারুক ভাই নিজেও একজন অধিনায়ক। তিনি আমাদের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে বিপিএলকে ভালোভাবে পরিচালনা করা যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটের অগ্রগতিতে পরামর্শ চেয়েছেন। আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। ফারুক ভাই নোট নিয়েছেন। এ থেকে বোঝা যায়, অধিনায়কদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বিপিএল ফোকাসে থাকার কারণ হলো– টুর্নামেন্টের মানোন্নয়ন করতে হলে স্লট এগোতে হবে। ভালোমানের বিদেশি ক্রিকেটার পেতে চাইলে আইএল টি২০ বা এসএ২০ লিগের স্লট এড়াতে হবে। কারণ, এ দুটি লিগে আইপিএলের তিন-চারটি দল খেলে। ওখানে টাকা বেশি, আইপিএলে খেলা বিদেশিদের একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। এ ক্ষেত্রে বিপিএল ডিসেম্বরে করা গেলে ভালো। বিসিবি সভাপতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গিয়ে অন্য বোর্ড সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। আশা করি, একটি সুন্দর সমাধান হবে।’ 

জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন জানান, একাদশ বিপিএলের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেটা টুর্নামেন্টের শৃঙ্খলা ফেরাতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এনসিএল টি২০ লিগ করার চিন্তা, অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে জাতীয় লিগের খেলা। চার রাউন্ড হবে। বাকি তিন রাউন্ড হবে বিপিএল শেষে। এতে করে টেস্ট ক্রিকেটারদের লম্বা সময় বিরতি দিতে হবে না।’ বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে ছয়টি দল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, মুমিনুল হক ও লিটন কুমার দাস সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। খালেদ মাসুদ পাইলট, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান জুমে যুক্ত হয়েছিলেন। 

আশরাফুল নিজের মতামতে বলেছেন, ‘ফারুক ভাই জানতে চেয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্যালেন্ডার কেমন হওয়ায় উচিত। আমাদের মৌসুম শুরু হয় চার দিনের ক্রিকেট দিয়ে। আমি মনে করি, মৌসুম শুরু হওয়া উচিত টি২০ দিয়ে। কারণ অক্টোবরে বৃষ্টির প্রভাব থাকে। চার দিনের ছয়টি ম্যাচের দুটি অন্তত খেলা হয় না। টি২০ দিয়ে শুরু হলে বৃষ্টি বন্ধ হলে খেলতে পারবে। এনসিএল টি২০ দিয়ে শুরু হলে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও খেলোয়াড় নির্বাচন করতে পারবে মাঠের পারফরম্যান্স দেখে। এ ছাড়া বলেছি, বিপিএল চলাকালে এক থেকে দেড়শ খেলোয়াড় ঘরে বসে থাকে। মুমিনুলের মতো খেলোয়াড় প্রায় ৪৫ দিন ঘরে বসে ছিল। অনেক কোচ আছে, যারা বিপিএলে দল পায় না। তাদের দিয়ে রাজশাহী বা বগুড়াতে বিসিবির তত্ত্বাবধানে আরেকটি টুর্নামেন্ট হতে পারে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল দ র মত মত ট ২০ দ য় প এল র ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

এডিপির ব্যয় আগের চেয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা কম

দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি আরও স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৯ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৩৭ শতাংশেরও কম।

গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৪২ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে একক মাস হিসেবে মার্চে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৭ শতাংশেরও কম, যা গত অর্থবছরের একই মাসে ছিল ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৯ মাসের ব্যয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কম। 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা যায়, গত ৯ মাসে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আগের একই সময়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে ২৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। একক মাস মার্চে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এ ব্যয় গত বছরের মার্চে ছিল ২২ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের হিসাবে মার্চে উন্নয়ন ব্যয় গত বছরের মার্চের চেয়ে ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা কম। 

চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসেবে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়নে স্থবিরতার কারণে এডিপি সংশোধন করে সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার রেকর্ড পরিমাণ ছোট করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ বা ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ