১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে সামিট পাওয়ার, বেড়েছে মুনাফা
Published: 18th, February 2025 GMT
২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সামিট পাওয়ার। একই সঙ্গে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
গত অর্থবছরে সামিট পাওয়ারের মুনাফা অনেকটাই বেড়েছে। ৩০ জুন তারিখে শেষ হওয়া বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ দশমিক ১৩ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ–সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শেয়ারপ্রতি আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে কোম্পানির ভারী তেল ক্রয়বাবদ ব্যয় হ্রাস পাওয়া। ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া বছরে ডলারের বিনিময়ে টাকার অনেকটা অবমূল্যায়নের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে বিনিময় হারের প্রভাব অনেকটা কমে আসে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ টাকা ০২ পয়সা। এ ছাড়া শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৬ টাকা ১৩ পয়সা; আগের অর্থবছরে যা ছিল ৭ টাকা ০৪ পয়সা।
গত এক বছরে সামিট পাওয়ারের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। সামিট পাওয়ার ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ও ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পেল চসিক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) দাবির চার বছর পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পেয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের হাতে ১০০ কোটি টাকার চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। এই টাকা নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বাড়াতে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিংয়ের (স্থাপনা) কর পুনর্মূল্যায়ন করে চসিক। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ২০৯টি স্থাপনার বিপরীতে গৃহকর দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ কোটি টাকা। পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়নে গৃহকর বেড়ে যাওয়ায় আন্দোলনে নামে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নামের একটি সংগঠন। আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী গৃহকর আদায় স্থগিত করে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী ১৬০ কোটি টাকা দাবি ছিল সিটি করপোরেশনের। তা দিতে নারাজ ছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা আগের ধার্য করা ৪৫ লাখ টাকা আদায় করে আসছিলেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক চিঠিতে চসিক ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৬০ কোটি টাকা গৃহকর পরিশোধের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করলে, চট্টগ্রাম বন্দর ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পরিশোধ করে।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমানে নগরবাসীর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বছরে ৭০ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার ফলে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বাড়াতে পারবে চসিক। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক এবং চসিকের পক্ষে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।