গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯ লাশ উদ্ধার
Published: 18th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৯ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে উপত্যকাজুড়ে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৪৮ হাজার ৩০০ জনে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া আরও ১৬ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭০৯ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসেই ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী
সাভারের আশুলিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মণ্ডলের মালিকানাধীন দোতলা ভাড়াবাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা জেলার মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। রান্নার কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহার করত পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে দূর্গাপুর এলাকার সোহাগ মণ্ডলের ভাড়া বাড়িতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু মেয়েটি দগ্ধ হলে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে দগ্ধদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক সোহাগ মণ্ডল বলেন, যে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থাকি না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার ওই বাড়িতে গ্যাসের কোনো লাইন নেই। ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার ব্যাবহার করেন। বিষয়টি আসলে কী হয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে জানার পরই বলতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের জোন-৪ এর উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, রোববার ভোররাতে আমরা জিরাবো এবং কাঠগড়া এলাকায় দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নির্বাপন করেছি। কিন্তু গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা গেছেন এবং বাকিরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।