‘গেম চেঞ্জার’ রিশাদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
Published: 18th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের উইকেটকে ব্যাটিং–স্বর্গই বলা যায়। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরার পর ওয়ানডেতে এখানে রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৫.৮৯ করে। যা এ সময়ে ওয়ানডেতে সব কটি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান তো ৩৫২ রানও তাড়া করে জিতেছে।
এই সিরিজে ৪ ম্যাচের ৮ ইনিংসের মধ্যে ৫ ইনিংসেই ৩০০ বা এর চেয়ে বেশি রান উঠেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এমন উইকেটে রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনেই আস্থা রাখছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। আইসিসি প্রকাশিত এক ভিডিওতে রিশাদের ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছেন তানজিম হাসান, সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
আরও পড়ুনছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নবীর১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু আবার দুবাইয়ে। পরশু ভারতের বিপক্ষে সেখানে খেলবে নাজমুলের দল। ভারত যেভাবে ওয়ানডে খেলে, ম্যাচটি যে হাই স্কোরিং হবে সে আন্দাজ করা কঠিন কিছু নয়। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশ খেলবে রাওয়ালপিন্ডিতে, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই দুটি দলই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে রান উৎসবে মেতেছিল।
রিশাদ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বল হাতে ও সব সময় ব্রেকথ্রু এনে দেয়। আবার ব্যাটিংয়ে যখন প্রয়োজন তখন রান করেতানজিম হাসানএমন ম্যাচেই উইকেটের মূল্য থাকে আরও বেশি। ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলতে থাকেন, লেগ স্পিনারদের সাহসী ডেলিভারিতে যেমন রান খরচ হয়, আবার মিলতে পারে উইকেটও। সব মিলিয়ে তাই এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য রিশাদ হতে পারেন এক্স ফ্যাক্টর।
আরও পড়ুনচমকে দিতে পারেন যে পাঁচজন১ ঘণ্টা আগেসেই কথাই টুর্নামেন্টের আগে মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। অধিনায়ক নাজমুল রিশাদকে নিয়ে বলেছেন, ‘রিশাদ ভালো বোলিং করলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। কারণ, আমরা জানি পাকিস্তানের উইকেট কতটা ভালো। এই টুর্নামেন্টে রিস্ট স্পিনাররা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিশাদ এই টুর্নামেন্টে কেমন বোলিং করে তা দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
অলরাউন্ডার রিশাদকে পাওয়ার প্রত্যাশায় বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় সংঘর্ষ ঠেকাতে যাওয়া বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
ভোলায় জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিএনপি নেতা সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভোলা-ভেলুমিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম জামাল উদ্দিন হাওলাদার (৬০)। তিনি ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
এলাকাবাসী, নিহতের স্বজন, গ্রাম পুলিশ ও ভোলা সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুঞ্জপট্টি মৌজায় মো. ইব্রাহীম রাঢ়ি নামের এক ব্যক্তি ৫ শতক জমি কেনেন। তবে পাশের জমির মালিক মো. আলম ব্যাপারী ওই জমি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে অনেকবার সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। গতকাল সোমবার ঈদের দিনেও এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষ লাঠিয়াল ভাড়া করে জমি দখল করতে যায়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন হাওলাদার। বিকেলে বরিশালে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘তোমরা মারামারি বন্ধ করো, আমি তোমাদের সমস্যা সমাধান করে দেব।’ এ সময় জামাল উদ্দিনের মাথায় ও শরীরে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু বাড়ি আনার সময় পথে নড়ে উঠলে তাঁকে আবার বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক বিকেল ৫টার দিকে পরীক্ষা করে তাঁকে আবার মৃত ঘোষণা করেন।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল উদ্দিন দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইব্রাহীম রাঢ়ির ছেলে তাঁর মাথায় প্রথম আঘাত করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেবেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।