Prothomalo:
2025-02-22@23:16:10 GMT

লোকবল নিয়োগ দিতে কেন গড়িমসি

Published: 18th, February 2025 GMT

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আদৌ কোনো অভিভাবক আছে কি না, তা যে একটি বড়সড় প্রশ্ন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি তার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত। অবকাঠামো নির্মাণ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনা বাবদ কয়েক শ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার পরও সেটি চালু করা যায়নি। তার কারণ হলো, নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ১৪ মাস পার হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে কুষ্টিয়া ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ সুলভে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন।

প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, ২০১১ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কলেজ ক্যাম্পাস ও হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধ থাকা এবং কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে এবং সেই সঙ্গে ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুরো নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের তিন কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে যেতে হয়।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাততলা ভবনে ৫০০ শয্যার পাশাপাশি ৮৮টি কেবিন, ২৩ শয্যার সিসিইউ ও ২০ শয্যার আইসিইউ রয়েছে। এ ছাড়া জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য আলাদা আরও ১৩০ শয্যার ব্যবস্থা চালু আছে। হাসপাতালটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪১৪ জন জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় হাসপাতালটির কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।

প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান, এক্স–রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন অস্ত্রোপচারকক্ষে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও আসবাব গুদামবন্দী করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালকের দাবি, যাঁরা এসব কিনেছেন এবং কেনাকাটা ও রিসিভ করার দায়িত্বে যে কমিটি ছিল, তারা এগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে না। অথচ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক যে অভিযোগ করেছেন, সেটা অত্যন্ত গুরুতর। এসব চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নিয়ে দুই পক্ষের ঠেলাঠেলি চলায় কেউ বুঝিয়েও দিচ্ছে না, কেউ বুঝেও নিচ্ছে না। এই ঠেলাঠেলিতে একমাত্র যে লাভটা হচ্ছে তা হলো, প্যাকেটবন্দী যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর থেকে বড় দায়হীনতার পরিচয় আর কী হতে পারে?

যে মেডিকেল কলেজে ২০১১ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হতে কেন ১৫ বছর লেগে যাবে? কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি চালু করার জন্য কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই দফা আন্দোলন করতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের নেতৃত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের বধিরতার চিকিৎসা কে করবে? দয়া করে লোকবল নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটি চালু করুন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনার্য বছরজুড়ে কাজ করে থাকে: সফিক রহমান

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অনার্য পাবলিকশন্স লিমিটেড’ ৩১ টি বই প্রকাশের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সবমিলিয়ে ছয়শো ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন অনার্য’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিক রহমান। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি।


রাইজিংবিডি: আমরা জানি যে অনার্যের উদ্দেশ্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। চলতি বইমেলায় অনার্য ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ক্যাটাগরিতে কতগুলো বই প্রকাশ করেছে?

সফিক রহমান: ধন্যবাদ রাইজিং বিডিকে। ২০১১ সালের বইমেলা দিয়ে অনার্যের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হলেও আমরা ২০০৮ সাল থেকে স্বল্প পরিসরে প্রকাশনার কাজ শুরু করি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. আব্দুল জলিল স্যারের বাংলাদেশের ফোকলোর চর্চার ইতিবৃত্ত অনার্যের প্রথম প্রকাশনা। বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য সাহিত্য সংস্কৃতি দর্শন এবং মূল্যবোধের প্রতি অনার্য শ্রদ্ধাশীল। ফলে আমরা আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য দর্শন সাহিত্য সংস্কৃতি পাঠকের হাতে তুলে দিতে সব সময়ই বদ্ধপরিকর। অনার্য বছরজুড়ে কাজ করে থাকে। ২৪ এর বইমেলার পর আজ পর্যন্ত অনার্যের প্রকাশনা ৫৪। তার মধ্যে ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ক্যাটাগরিতে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৭টি।

আরো পড়ুন:

নতুন ভাষা দ্রুত শেখার উপায়

বইমেলায় মাহমুদুল আলম দিপুর ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার এবং আমি’

রাইজিংবিডি: ‘সেরা লেখকের লেখা নয়, লেখকের সেরা লেখাই নিয়েই অনার্যের পথচলা’ লেখকের সেরা লেখা পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে এবং প্রকাশে অনার্য কীভাবে কাজ করে?
সফিক রহমান:
দৃশ্যত, অনার্যের স্টিয়ারিং হুইল আমার হাতে থাকলেও অনার্যের পরিকল্পনা এবং কর্মযজ্ঞে আছে আমার শিক্ষাগুরুগণ এবং বন্ধু-সজনরা। ‘সেরা লেখকের লেখা নয়, লেখকের সেরা লেখাই নিয়েই অনার্যের পথচলা’- এই স্লোগানটি আমার বন্ধু লেখক-সাংবাদিক তাপস রায়ের দেয়া। তিনি শুধু আমার বন্ধু নন তিনি অনার্যের একজন পরামর্শক এবং নীতিনির্ধারক। তিনিই আমাকে বলেন, সেরা লেখকের সব লেখা মানসম্পন্ন হবে এমন নাও হতে পারে। আমরা লেখকের সেরা লেখা নিয়ে কাজ করব। 
অনার্যের পাণ্ডুলিপি নির্বাচনের জন্য পরামর্শক মন্ডলী এবং পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার জন্য সম্পাদনা পরিষদ আছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে অনার্য কাজ করে। তাছাড়া আমরা লেখক নির্বাচন করে লেখকের সঙ্গে বইয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং সময় নিয়ে পাণ্ডলিপি প্রস্তুত করি।

রাইজিংবিডি: শিশুদের বইও প্রকাশ করছে অনার্য, শিশুসাহিত্যের পাঠকদের কাছে কোন ঘরানার বইয়ের চাহিদা বেশি দেখতে পাচ্ছেন। 
সফিক রহমান:
অনার্য শুরু থেকেই শিশু-কিশোরদের জন্য অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলছে। শিশুদের কাছে চাঁদ আর চান্দামাছের গুরুত্ব একই রকম। বিষয়টা হলো- শিশুমন আকৃষ্ট করে এমন বই চাই। বইয়ের বিষয় বা ধরণ যেমনই হোক। অনার্য শিশু পাঠকের জন্য শিশুর পছন্দসই লেখা এবং ছবি দিয়ে বই প্রস্তুত করে। তারপরেও কোন ঘরানার বইয়ের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নে বলতে হয়- শিশুরা ছবি আঁকার বই পছন্দ করে। ছবি আঁকার বই হলেই হবে না, তা ওই ক্ষুদে পণ্ডিতের মন মতো হতে হবে। শিশুরা ভূতের গল্প পছন্দ করে তবে তা যেমন তেমন ভূত হলে চলবে না; ওই ভূতের গল্প এবং ছবিতে ভয় পাওয়া চাই। 
আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, আমাদের বাংলাদেশ বিষয়ক বইও শিশুর ভালো লাগে; এই বিষয়ক বই কেনার বায়না করে। যেমন- গত বছরের মেলায় দেখেছি ‘সুন্দরবনে টম এন্ড জেরি’ নামে একটা বই বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে কিনছে। বইটি শিশুদের আঁকিয়ে হিসেবে বিখ্যাত মামুন হোসাইনের আঁকা আরেক কিশোর লেখক অনন্ত সাহেদের লেখা। বইটি সু্ন্দরবন নিয়ে চমৎকার বই। গল্পের চরিত্র টম আর জেরি এবং মামুন হোসাইনের আঁকার কল্যাণে আমাদের শিশুরা পছন্দ করেছে বলেই আমার ধারণা। বস্তুত, ভূতপ্রেত, রাক্ষস-খোক্কস, দেও-দানবের গল্পের বই পছন্দ করে শিশুরা। তবে তা অবশ্যই উপস্থাপনা এবং ছবিতে নান্দনিক হতে হয়। আর ছবি আঁকার বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ আছে।

রাইজিংবিডি: শিশুসাহিত্যের পাঠক বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্র কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন?
সফিক রহমান:
পাঠ্যাভ্যাস নিয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যবইয়ের সাথে সৃজনশীল বই আবশ্যিক করতে হবে। দেশে ৬৫ হাজারের অধিক সংখ্যক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরেও আছে- রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা,কিন্ডারগার্টেন। এই প্রতিষ্ঠানগলোতে পাঠ্য বইয়ের বাইরে নয়, পাঠ্যবইয়ের সাথে সৃজনশীল বই পড়াতে হবে। এটা হতে পারে সপ্তাহের যেকোনো একটা দিন ছেড়ে দিতে হবে শিশুদের সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতেই। বাংলা ক্লাসে শ্রেণি উপযুক্ত গল্প বা ছড়ার বই নিয়ে শিশুরা এক্টিভিটিস করবে। তা গল্প বলা, আবৃত্তি করা, গল্পের সাথে অভিনয় করা এবং এক সময় নিজের মতো করে নিজের গল্প বলা, নিজের স্কুল, নিজ গ্রাম নিয়ে শিশুরা নিজেদের গল্প বানাবে। তাতে ওরা ভাবতে শিখবে, নিজেকে জানতে শিখবে। ইংরেজি ক্লাসে একই ধরণ। গণিতে হতে পারে গণিত অলিম্পিয়াড ধরনের কিছু। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তো বিস্তৃত অধ্যায়। নিজ দেশ কে পাঠ্য বইয়ের বাইরে গিয়ে জানবে গল্পে গল্পে। আসলে এইচর্চাটা সকল বিষয়েই সম্ভব।

রাইজিংবিডি: লেখকের রয়্যালিটি প্রদান অনার্য কীভাবে নিশ্চিত করে?
সফিক রহমান: 
লেখকগণ সম্মানিত সৃষ্টিশীল মানুষ, তারা গুণিজন। লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ আর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অর্থ এবং ব্যবস্থাপনায় একটা বই প্রকাশিত হয়। ফলে প্রতি জন সম্মানিত লেখকের সাথে সম্পর্ক হয় আলাদা আলাদা। ফলে লেখকের রয়্যালিটি প্রদানের বিষয়টা লেখক-প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কের ওপর নির্ভশীল এবং এটা আমরা প্রকাশ করি না। 

রাইজিংবিডি: অনার্য কতগুলো বই নিয়ে প্রকাশনা শুরু করেছিলো, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত?
সফিক রহমান:
বই প্রকাশের পুর্বেই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়ে যায়। এটা বলতে পারি- ২০১১ সালের বইমেলা সম্পন্ন করে ছিলাম আমরা যতদূর মনে পড়ে ৩১টা বই দিয়ে। আজ পযর্ন্ত অনার্য থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬১৯টি।

রাইজিংবিডি: প্রকাশিত বইয়ের প্রচারে অনার্য কীভাবে কাজ করছে, প্রচারে আরও কি কি পদক্ষেপ নিতে চায়?
সফিক রহমান:
বইয়ের সংবাদ প্রচারের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। পাঠকের প্রয়োজন এবং রুচি বুঝে বইয়ের খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এর বাইরে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। তবে আমরা নতুন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষা বিষয়ক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ‘ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি’র মাধ্যমে দেশব্যাপী তারুণ্যের শিক্ষামেলার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মাঝে আমরা পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেলা করেছি। যদিও সেখানে অনার্যের বইয়ের বাইরে আরও ৩২টা প্রতিষ্ঠানের বই প্রদর্শন করা হয়। এই মেলাগুলোতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অবিভাবকগণ থাকেন। পাঠ্যাভ্যাস উন্নয়নে এই মেলা থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।

রাইজিংবিডি: অনার্য অনুবাদ গ্রন্থও প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অনুবাদ সাহিত্য প্রকাশের সঠিক প্রক্রিয়াটা আসলে কী?
সফিক রহমান:
অনুবাদ সাহিত্য প্রকাশের সঠিক প্রক্রিয়া হলো- ক্লাসিক হলে অনুমতি লাগবে না। অন্যথায় মূল লেখক বা লেখকের এজেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অনুবাদ করতে হয়। সেক্ষেত্রে লেখক এবং প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বেশ কিছু নিয়ম মেনে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়।অনার্যের অনুবাদের বইয়ের সংখ্যা খুব বেশি না। অনুবাদ আমার বিবেচনায় একটা জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমত, আমাদের দেশে ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হয়। কারণ অপরাপর ভাষা জানা অনুাদক খুবই কম। ফলে চাইলেই মূলানুগ অনুবাদ প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেওয়া জটিল এবং ব্যয়সাপেক্ষ। অনেক পরিশ্রম করেও যে সংখ্যক বিক্রি করা যায়, তার লভ্যাংশ দিয়ে মূল লেখকের রয়্যালিটি ব্যয় মেটানো প্রায় অম্ভব। তৃতীয়ত,  ক্লাসিক বা চিরায়ত বই অনুবাদ করতে অনুমতি লাগে না। সেই ক্লাসিকও হয় ইরেজি ভাষার, নয় ইরেজিতে অনূদিত। ক্লাসিক ইরেজি অনুবাদ করা তো সহজসাধ্য নয়।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনার্য বছরজুড়ে কাজ করে থাকে: সফিক রহমান
  • ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ