জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিলের শুনানি কার্যতালিকায়
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি আজ কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি কার্যতালিকায় রয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এরপর পরবর্তী শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন রাখেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি কার্যতালিকায় ওঠে।
এর আগে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ
আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে আলাদা করে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জানুয়ারি শুনানি হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা ওই বছরই আপিলে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।
তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ক র যত ল ক য় আইনজ ব ইসল ম আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল, অধিকাংশই ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের: মার্কো রুবিও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল করেছেন এবং তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মুখোশধারী এজেন্টরা এক শিক্ষার্থীকে আটক করা নিয়ে দেশটিতে সৃষ্ট উত্তেজনাকে পাত্তা দেননি তিনি।
ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক রুবিও বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি ভিসা বাতিলের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কতজনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে রুবিও বলেন, ‘এই মুহূর্তে হয়তো ৩০০টির বেশি। আমরা প্রতিদিন এটি করি।’ বাতিল করা ভিসার বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের।
গায়ানা সফরকালে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই উন্মাদদের পেলেই তাঁদের ভিসা কেড়ে নিই। আমি আশা করি, কোনো এক সময় আমরা তাদের কাছ থেকে মুক্তি পাব।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কলেজ ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি স্নাতক ছাত্রী রুমেসা ওজতুর্ককে সাদা পোশাকে মুখোশধারী এজেন্টরা আটক করেছেন।
ওজতুর্ক শিক্ষার্থীদের একটি পত্রিকায় গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এখন তাঁকে বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অভিবাসন আইনজীবী মাহসা খানবাবাই অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওজতুর্ককে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ‘হোম সিকিউরিটি বিভাগের মুখোশধারী এজেন্টরা আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে।’