রোজার মাসেও ভোগাতে পারে গ্যাস–সংকট
Published: 18th, February 2025 GMT
দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। আমদানি করেও চাহিদামতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাত। এতে আবাসিক খাতের অনেক গ্রাহক দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাসেও ভোগাতে পারে রান্নার চুলা।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে মোটামুটি চাহিদা মেটানো যায়। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি ঘনফুট। রমজান মাসে এটি বেড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট হতে পারে। বিগত বছরে একই সময়ে গ্যাসের সরবরাহ প্রায় একই পরিমাণ ছিল। তবে এবার বিদ্যুৎ খাতে গত বছরের চেয়ে বাড়তি সরবরাহ করা হবে।
পেট্রোবাংলার কাছ থেকে বরাদ্দ বুঝে নিয়ে গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করে ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থা। দুটি সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুম সামনে রেখে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রমজান মাসে দিনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়তে পারে ২০ থেকে ২৫ কোটি ঘনফুট। এর পুরোটাই চলে যাবে বিদ্যুৎ খাতে। শিল্পেরও চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে শিল্প আরও চাপে পড়বে। তাই আবাসিকে পরিস্থিতি উন্নতির তেমন সুযোগ নেই।
দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। ২০১৮ সালের পর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোয় তেমন জোর দেয়নি তারা। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০ থেকে ২১০ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানি করা এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ কোটি ঘনফুট। রমজান মাসে বাড়তি এলএনজি আমদানি করে দিনে অন্তত ৯০ কোটি ঘনফুট সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এতে আবাসিক খাতের অনেক গ্রাহক দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাসেও ভোগাতে পারে রান্নার চুলা।উৎপাদনের শীর্ষে থাকা গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার উৎপাদন কমছে। তাদের মজুতও শেষের দিকে। দুই বছর আগে এটি থেকে দিনে ১৩০ কোটি ঘনফুট উৎপাদন করা হয়েছে। এখন এটি নেমে এসেছে ৯৫ কোটি ঘনফুটে। এই একটি গ্যাসক্ষেত্রেই উৎপাদন কমেছে ৩০ কোটি ঘনফুটের বেশি। অন্য বড় গ্যাসক্ষেত্র থেকেও সক্ষমতা অনুসারে উৎপাদন হচ্ছে না।
জ্বালানি বিভাগের অবহেলা ও অদক্ষতাকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মজুত থাকার পরও কারিগরি পরিকল্পনা ও দক্ষ প্রযুক্তির অভাবে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। অথচ কম মজুত থাকা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে কয়েক গুণ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র সীমা বিজয়ের এক যুগ পরও কোনো গ্যাস আবিষ্কার করা যায়নি। মূলত কমিশন বাণিজ্যের সুযোগ নিতেই এলএনজি আমদানি বাড়ানোর দিকে গেছে গত আওয়ামী লীগ সরকার। উৎপাদন বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে খুব শিগগির উৎপাদন বাড়বে না।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো.
রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ করে বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। চার শহরের আবাসিক গ্রাহকেরাই দীর্ঘ দিন ধরে গ্যাস–সংকটে ভুগছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস না পাওয়ায় ফোন আসছে তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুর, পুরান ঢাকা, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, ধানমন্ডি, বনশ্রী, খিলগাঁও, বসুন্ধরা এলাকা থেকে বেশি আসছে অভিযোগ।
চুলায় গ্যাস পেতে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ অধিকাংশ গ্রাহকের। তাই তাঁরা রান্নার কাজে বিকল্প হিসেবে এলপিজি ব্যবহার করেন। এতে তাঁদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মোহাম্মদপুরের রিং রোডের শেগুফতা শারমীন প্রথম আলোকে বলেন, অফিসে যাওয়ার আগে সকালে ও অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর রান্নার সুযোগ তৈরি হয়। ওই সময় কখনোই গ্যাস থাকে না। বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে।
কাদেরবাদ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা দীপা রানী দাস বলেন, প্রতি মাসে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হয়। চুলায় গ্যাস আসে রাত ১২টার পর, ভোর ৬টার আগেই আবার চলে যায়। রান্না করার সুযোগ নেই।
বিদ্যুৎ খাতে ১২০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হবে। বাকি খাতগুলোতে বর্তমানের মতো সরবরাহ থাকবে। এর জন্য রমজান মাসে এলএনজির একটি কার্গো বাড়তি আনা হচ্ছে। এতে আবাসিক খাতে সরবরাহ কিছুটা বাড়তে পারে।পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমানকাঁঠালবাগানের রোকন উজ্জামান বলেন, রাতে সবাই ঘুমানোর পর চুলায় গ্যাস আসে, ঘুম থেকে ওঠার আগেই চলে যায়। এলপিজি সিলিন্ডার কিনে রান্নার কাজ সারছেন।
খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সাদিকুন নাহার বলেন, রাত ১১টা–১২টার দিকে গ্যাস আসে, ভোর ৬টার আগেই চলে যায়। কোনো কোনো দিন আরও আগে যায়। তাই রমজান মাসে ইফতার ও রাতের খাবার তৈরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
তিতাস গ্যাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর তেমন সুযোগ নেই। প্রতিদিন গড়ে ১৯৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চাহিদা দিয়েছে তিতাস। প্রকৃত চাহিদা আরও বেশি। এখন তারা সরবরাহ পাচ্ছে ১৫৫ কোটি ঘনফুট। রমজান মাসে তাদের সরবরাহ বাড়িয়ে ১৭০ কোটি ঘনফুট করা হতে পারে। তবে বাড়তি গ্যাসের পুরোটাই যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে।
রাত ১১টা–১২টার দিকে গ্যাস আসে, ভোর ৬টার আগেই চলে যায়। কোনো কোনো দিন আরও আগে যায়। তাই রমজান মাসে ইফতার ও রাতের খাবার তৈরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সাদিকুন নাহারসারে কমবে, বাড়বে বিদ্যুতেজ্বালানি বিভাগ বলছে, চট করে গ্যাসের সংকটের সমাধান করা যাবে না। দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমছে, এলএনজি আমদানির সক্ষমতাও সীমিত। বিশ্ববাজারে এলএনজির দামও বাড়তির দিকে। গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় পেট্রোবাংলা হিমশিম খাচ্ছে। নিয়মিত ডলার জোগাড় করা যাচ্ছে না। এলএনজির বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এতে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।
এখন শীতের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম। রমজান মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে সার কারখানা থেকে সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেকে নামানো হবে। বোরো মৌসুম সামনে রেখে সার কারখানায় সরবরাহ বাড়িয়ে ১৪ থেকে ১৫ কোটি ঘনফুট করা হয়। এখন এটি ধীরে ধীরে কমানো হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দিনে ১৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বর্তমানে সরবরাহ পাচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ কোটি ঘনফুট। রমজান মাসে এটি ১২০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যুতের পর শিল্প অগ্রাধিকার পাবে। শিল্পকারখানায় অন্তত বর্তমানের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
তিতাস গ্যাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর তেমন সুযোগ নেই। প্রতিদিন গড়ে ১৯৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চাহিদা দিয়েছে তিতাস। প্রকৃত চাহিদা আরও বেশি। এখন তারা সরবরাহ পাচ্ছে ১৫৫ কোটি ঘনফুট।আবাসিক খাতে গ্যাসের গ্রাহক আছেন ৪৩ লাখ। এর মধ্যে চার লাখ প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। তাঁরা যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করেন, ততটুকুর বিল দেন। মাসে গড়ে তাঁদের বিল ৫০০ টাকার কম। আর বাকি ৩৯ লাখ গ্রাহক প্রতি মাসে দুই চুলার জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা করে নির্ধারিত বিল পরিশোধ করেন। গ্যাস না পেলেও এই বিল পরিশোধ করতে হয় তাঁদের।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি সরবরাহের কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ায়; কিন্তু এলএনজি আমদানি করে কম। কোনো গ্রাহক চাহিদামতো গ্যাস পান না। বাসা থেকে নির্ধারিত বিল নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বছরের পর বছর গ্যাস দিচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন অসাধু ব্যবসার বিচার হওয়া উচিত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক র ব স ন দ ঘনফ ট সরবর হ গ য স সরবর হ ঘনফ ট গ য স সরবর হ ব ড় রমজ ন ম স র সরবর হ সরবর হ প সরবর হ র সরবর হ ক এলএনজ র গ র হক র র জন য আমদ ন সরক র বলছ ন ১২ট র
এছাড়াও পড়ুন:
চিনি, তেল, ছোলাসহ রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা বাড়ে এমন ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ছোলা আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, খেজুর ২৩ শতাংশ, চিনি ২০ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান সামনে রেখে ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
পণ্যগুলো হলো চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুর। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ জমার হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় কারণে এসব পণ্যের আমদানিতে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের ঋণপত্রে খোলা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি—এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। উল্লিখিত সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টনে। ডালজাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। চার মাসে এই পণ্যটি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। রসুনের আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন।