ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমআরএ) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দৈনিক আমাদের সময়ের রিপোর্টার আক্তারুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) অডিটোরিয়ামে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাতেন বিপ্লব।  

নির্বাচনে অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন- সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাংলানিউজ২৪ডটকমের লিড মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রহমতুল্লাহ, সহসভাপতি পদে আমাদের সময়ের মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ জুবায়ের, দপ্তর সম্পাদক পদে বাংলাফ্লোর আবু বকর সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক পদে কালবেলার মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মুজাহিদ), প্রচার সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ আল নোমান, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমকালের ফৌজিয়া ফারিয়া, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে বাংলাদেশ টাইমসের আরেফিন ইমন, সাহিত্য সম্পাদক পদে আমার দেশ পত্রিকার আরমান মুজাহিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমার দেশের রিপোর্টার আশরাফুল আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক বাংলানিউজ২৪ডটকমের সাইমুন মুবিন পল্লব, ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান তালহা, আপ্যায়ন সম্পাদক কালের কান্ঠের আব্দুল হামিদ নির্বাচিত হয়েছেন। 

১ নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কালবেলার এইচ এম মাহিন নির্বাচিত হয়েছেন। অনান্য নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- কালের কন্ঠের মিরাজ উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাজমুল ইসলাম এবং নাগরিক টিভির জিহাদুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ বছর পর সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল  মাওলানা রফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক অধ্যক্ষ ড. ইকবাল  হোসাইন ভূঁইয়া। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈশাখা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা কলেজের  অধ্যাপক  মো:ওবায়দুল হক । অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান গিয়াস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  অধ্যক্ষ ড. ইকবাল  হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁও উপজেলায় অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ কলেজ। আমাদের কলেজের শিক্ষকরা খুব আন্তরিকতার সাথে পাঠ দান করে থাকেন এবং আমাদের এই কলেজটি দিয়ে বিভিন্ন চড়াই উৎড়াই এর মধ্য দিয়ে দিন দিন উন্নতির শিখরে আরোহন করছে। আমরা একটি মানসম্মত কলেজ ও ইউনিভার্সিটি  প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তিনি এই কলেজ থেকে যারা পাশ করে গেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কলেজ থেকে যারা পাস করে বিভিন্ন  পজিশনে আছো তোমাদের সার্বিক সহযোগিতা  কামনা করছি। 

সভাপতির বক্তব্যে  প্রফেসর ওবায়দুল হক বলেন, এই কলেজ থেকে  অনেক ছাত্রছাত্রী পাশ করে গিয়ে শিক্ষক,  সাংবাদিক, ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অনেক পেশায় যুক্ত আছে। সকলকে কলেজটির উন্নয়নকল্পে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাই। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক ঘাটতি থাকতে পারে কিন্তু আন্তরিকতার ঘাটতি নাই। বিগত সরকার শিক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে গেছে।  আমরা চেষ্টা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে একটা বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য। কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সততা নিয়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নাই বলে তিনি সকলকে কলেজটিকে উন্নত করার পরামর্শ ও সহযোগিতার  কামনা করেন। 

অত্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ২০১০ সালের  এইচএসসি পরীক্ষায় সোনারগাঁও উপজেলায় একমাত্র জিপিএ 5 প্রাপ্ত মোঃ রইস উদ্দিন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা স্বপ্ন দেখায়, পরিশ্রম করায় ও সফলতার পথ দেখায়। কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ব্যর্থতা থেকে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল,সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুমের সোনারগাঁও  আইডিয়াল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেনি। 

 

প্রাক্তন ছাত্রী ছনিয়া আক্তার বলেন, কলেজের শিক্ষকরা আমাদের সন্তানতুল্য স্নেহে পড়ালেখা করিয়েছেন।

আরেক প্রাক্তন ছাত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁ উপজেলা একটি স্বনামধন্য কলেজ হওয়া সত্বেও গত ১৫ বছরে যথাযথ অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়নি।আমরা সকলে মিলে কলেজটিকে একটি উন্নত ও মানসম্মত কলেজ হিসেবে গড়ার জন্য সহযোগিতা করব।

 উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, সোনারগাঁও আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। 

এসময় অনুষ্ঠানে আগত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ