ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সোমবার চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এই প্রদর্শনী শুরু হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

আজহারুল ইসলাম শেখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক মামুন আহমেদ দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার জন্য শিল্পীসমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিল্পীরা শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজের নানা অসংগতি ও চারপাশের অদৃশ্য বিষয় সামনে তুলে ধরেন। সৃজনশীল শিল্পকর্মের মাধ্যমে দেশের শিল্পজগৎকে সমৃদ্ধ করার জন্য তরুণ শিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন। এবারের বিশাল বিশাল কাজ আমাদের হৃদয়কে আলোড়িত করে।’

বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ১১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের ৮১ শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনীর।

২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ল পকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাক থেকে ঝরে পড়া বালুর স্তর সড়কে

তাহেরুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বাইসাইকেল চালিয়ে শহরের রেলগেট থেকে সাঁড়াগোপালপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক থেকে রাস্তায় ঝরে পড়া বালুর আস্তরণে চাকা পিছলে ইজিবাইকের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে পাতিবিলের কিনারায়। অল্পের জন্য তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। অন্য যানবাহনের যাত্রীরা তাঁকে তুলে পাঠান বাড়িতে।
ঈশ্বরদীর টিপু সুলতান, উপজেলা, পাকশি পেপার মিল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। এতে শিক্ষক তাহেরুলের মতো বিপদে পড়ছেন অনেকে। জানা গেছে, বালু বহনকারী ট্রাক, ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে ঝরে পড়া বালু রাস্তায় জমতে জমতে পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। 
এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে জানা গেছে, পদ্মা নদী থেকে ট্রাকে সড়কপথে বহন করা বালু ঝরে পড়ে বিভিন্ন সড়ক এখন বালুময় হয়ে গেছে। পাকা সড়ক ঢাকা পড়েছে বালুর আস্তরণে। চাকা পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
টিপু সুলতান রোডে চলাচলকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে এ সড়ক ভাঙা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বালু বহন করায় ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়ে। এতে বালু জমে সড়ক ঢাকা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইজিবাইকচালক বদরুল আলমের ভাষ্য, বালুতে চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বালু না সরানো হলে এবং ট্রাকে অতিরিক্ত ভার বহন বন্ধ করা না হলে এ অবস্থার সমাধান হবে না।
পদ্মা নদী থেকে বালু ভর্তি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ফুট বালু সড়কে ঝরে পড়ে বলে জানান ট্রাকচালক জামাল হোসেন। আরেক চালক সামসুল আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে বারবার অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বালু ঝরে পড়ে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালু লোড করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঝরে পড়ার পরও ট্রাকের আকার অনুযায়ী বালু থাকে।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, বালুতে সড়কে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা জানা ছিল না। ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি আলাপ করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ