আ’লীগের হরতালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
Published: 17th, February 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। খারাপ কোনো কিছু ঘটবে না, নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সোমবার তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের সংস্কার করা কার্যালয়ের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ হরতালের ডাক দিয়েছে। পুরো রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতেও তারা (আওয়ামী লীগ) ফেসবুকে এমন প্রোগ্রাম দিয়েছে, তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।’
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ই-মেইল থেকে ড.
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ছিনতাই বা অন্যান্য অপরাধ কমে গেছে। এখন বড় সমস্যা নানা গোষ্ঠী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে যাত্রী, বিশেষ করে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ মানুষের কষ্ট হয়। দাবি-দাওয়া আদায়ের স্থান রাস্তা হতে পারে না। দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে টেবিলে বসে সমাধান করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ হরত ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে, চাঁদরাতে বাড়িতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ছিলেন আত্মগোপনে। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন। গ্রামের বাড়িতে এসেই স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
রোববার রাতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম মো. জসিম উদ্দিন জিসান (৩৬)। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তার পাড়ার আহমদ নবীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন জিসান আত্মগোপনে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিপক্ষে পোস্ট দিতেন। ফলে স্থানীয়রা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সর্বশেষ রোববার ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার আসার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে উপজেলার কেরানিহাট চত্বরে মিছিল করেছিল ছাত্র-জনতা। সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া গ্রামের গুরা মিয়া বাড়ির মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. তসলিম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় জিসান ৫৮ নম্বর এজহারভুক্ত আসামি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে জিসান ঘরে ছিল না। চাঁদ রাতে পরিবারের সদস্যদের জামা-কাপড় দিতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।