বীমা প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ বাংলাদেশের মোবাইল অ্যাপ ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’-এর পরিসর বাড়ল। এখন থেকে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপল স্টোর এবং ওয়েব এই তিন মাধ্যম থেকেই ডাউনলোড করা যাবে। এতে করে স্মার্টফোন, ট্যাব বা কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা সহজেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সুরক্ষা উপভোগ করতে পারবেন। মেটলাইফের বীমা গ্রহীতা ছাড়াও যে কেউ ২৪ ঘণ্টা টেলি ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন। গতকাল মেটলাইফের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ ইতোমধ্যে ১৩ লাখের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। শুরুতে এটি ‘থ্রিসিক্সটি হেলথ অ্যাপ’ নামে পরিচিত ছিল। অ্যাপটি এখন একাধিক প্ল্যাটফর্মে চলে আসায় বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতা, রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত তথ্য ও আর্থিক পরিকল্পনা পৌঁছানো সম্ভব হবে। এখান থেকে যে কেউ ২৪ ঘণ্টা ফ্রি টেলি-ডাক্তারের পরামর্শ, অনলাইনে ওষুধ কেনা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, বিভিন্ন ডিসকাউন্ট সুবিধা, বিএমআই ক্যালকুলেটর, কার্ডিও বা ডায়াবেটিস ঝুঁকি নিরূপণের মতো ফ্রি হেলথ অ্যাসেসমেন্ট সেবা পাবেন। বাংলাদেশে মেটলাইফ ১০ লাখের বেশি ব্যক্তি ও ৯০০-এর বেশি করপোরেট ক্লায়েন্টকে বীমা সেবা দিচ্ছে।
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে মেটলাইফ। মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শুধু আর্থিক নিরাপত্তা চায় না, সুস্থতার জন্য করণীয় জানতে চায়। সেই ধারণা থেকে অ্যাপটি বড় পরিসরে সব প্ল্যাটফর্মে ছাড়া হয়েছে। সেসব মাথায় রেখে নতুন বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। আগামীতে কোন ধরনের ফিচার যুক্ত হবে সে পরিকল্পনাও নিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও বীমা খাতকে সহযোগিতা করতে মেটলাইফ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
মেটলাইফ এশিয়ার চিফ মার্কেটিং অফিসার সঞ্জীব কাপুর বলেন, বাংলাদেশ মেটলাইফের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ডিজিটাল মাধ্যমগুলো যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সেবার সুযোগ সম্প্রসারিত করছে, তাতে ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ এখন বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে স্বাস্থ্য ও আর্থিক নিরাপত্তায় পাশে আছে মেটলাইফ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ও আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ফাঁকা হচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরে গতকাল বৃহস্পতিবারই ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস।

গতকাল বিকেলে অফিস-আদালত ছুটির পর থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঘরমুখী মানুষদের ভিড় বাড়তে থাকে।

আজ শুক্রবার সকালে দেখা যায়, লোকজন ব্যাগ নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন। এ জন্য তাঁরা ঢাকার বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটের দিকে ছুটছেন।

ইতিমধ্যে ঢাকার রাস্তাগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। আজ সকালে ঢাকার রাস্তাগুলোতে যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। তবে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাট এলাকায় বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার চাপ রয়েছে। এসব স্থানে যাত্রীদের ভিড় আছে।

গতকাল রাত পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়ে গেছে। ঢাকার বাস টার্মিনালগুলো থেকে বাস ও সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ ছাড়ছে।

ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। আর টার্মিনালে লঞ্চ এসেছে ৫৩টি।

যাত্রী ও পরিবহন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার ঈদে ৯ দিনের লম্বা ছুটি পাওয়ায় যাত্রীরা তুলনামূলক স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়তে পারছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ