Samakal:
2025-02-23@07:16:30 GMT

সুস্থ থাকতে বেশি করে ফল খান

Published: 17th, February 2025 GMT

সুস্থ থাকতে বেশি করে ফল খান

পেয়ারা
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স।
এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও নিকোট্রিন এসিড।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজ দেয়।
এটি রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন।
অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ উপকারী।
জটিল শর্করা ও তন্তুসমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

পেঁপে
চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে একটি আদর্শ ফল। যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখা উচিত। পেঁপে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপেতে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন সি পাবেন। 

লেবু
লেবুতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল থাকায় অতিরিক্ত ওজন কমাতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং লিভারের ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও লিমলিন থাকে, যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন সি-র বড় উৎস বলে পাকস্থলী ও হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগসহ সর্দি-কাশি, জ্বর, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ ও হাইপারটেশনে লেবু খুব ভালো উপকার দেয়। সকালবেলা লেবুর রস খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর হয়।
লেবু হজমে সাহায্য করে ও পিত্তরস উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে পেটের বদহজম ও জ্বালাপোড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 

কলা
কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড, যেটি মানসিক চাপ রোধক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম, যা বিষণ্নতা রোধে কাজ করে। কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লবণ, যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফল ক য লস য় ম স হ য য কর পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

গোপনে নির্বাচনী তৎপরতা, ফাঁস হওয়ায় সমালোচনা

মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। অথচ অধিকাংশ সদস্যই জানেন না কবে, কখন বা কীভাবে হচ্ছে নির্বাচন। গোপনে নির্বাচনী তৎপরতার খবর ফাঁস হয়ে পড়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতি নামে একটি সংগঠনে।

সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ৪৩। তাদের মধ্যে কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর  বজলুর রশিদ নান্নু, ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল খাঁ, সাকলায়েন মুরাদসহ অন্তত ৩০ জনের দাবি, তাদের ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন নিয়ে কিছুই জানেন না তারা। সংগঠনের এজিএম বা বার্ষিক সাধারণ সভা করা হয়নি। এখন সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু কোনো নিয়ম ছাড়াই কীভাবে নির্বাচন হবে, তা তাদের বোধগম্য না।

ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের জন্য ৩০ জানুয়ারি তপশিল ঘোষণা করা হয়। তপশিলের কপি সংগঠন ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর কথা। কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বিক্রির দিন সংগঠন ও সমাজসেবা অফিসে গিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি  কোনো নোটিশ বোর্ডও দেখা যায়নি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, ডা. ইউনুচ আলী ও সাজ্জাত হোসেন নামে তিনজনকে নিয়ে এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি করা হয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত ১৫টি পদের মধ্যে ৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। সভাপতি পদে দু’জন, সাধারণ সম্পাদক পদে একজন ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে একজন মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সদস্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের ভাষ্য, সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্তরা সদস্যদের তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার জন্য বলেছিলেন। এ মর্মে তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন। সংগঠনটি কীভাবে এজিএম করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা জানেন না তিনি। এখন এই নির্বাচন নিয়ে নানা জটিলতা সামনে এসেছে। এসব কারণে নির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।

বণিক সমিতির কমিটি নিয়ে বিতর্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মতামত না নিয়ে গোপনে পৌর শহরের বাজার বণিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সামনের সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মঠবাড়িয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ, ব্যবসায়ী ওয়ালিউল ইসলাম, জাকির খান, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, নিজামুল কবির মিরাজ, তুষার আহমেদ, রতন কর্মকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ-জামায়াত মিলে ইদ্রিস আলী মহারাজকে সভাপতি ও কামরুল ইসলাম রিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা ও উপজেলা জামায়েতের আমির অধ্যাপক জলিল শরীফকে দায়ী করেন তারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শামীম মিয়া মৃধা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নামধারী কতিপয় সুবিধাবাদী নেতা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমাকে ও জামায়াত নেতা জলিল শরীফকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি এবং সহযোগিতা করেনি। বণিক সমিতি নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করে এ কমিটির মাধ্যমে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ