জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
Published: 17th, February 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। পরে এসব তথ্য জাদুঘরে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথাগুলো বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নাগরিকদের ডিজিটাল–পদ্ধতিতে সেবা দিতে জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে হবে। নাগরিক সেবা দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
গুজবের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই যুগে গুজব প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্পর্শকাতর বিষয়ে বেশি পরিমাণে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
ইন্টারনেটের দাম কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম উপদ ষ ট মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।