সম্প্রতি মাসব্যাপী ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সুহৃদ সমাবেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, সেভ ক্যাম্পাস’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরুর পর সুহৃদরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা.
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। রাবি সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়। প্রশাসন ভবন চত্বর ছাড়াও তারা গ্রন্থাগার চত্বর, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল এলাকা এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করেন।
সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা মাসব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতি সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী
সাভারের আশুলিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মণ্ডলের মালিকানাধীন দোতলা ভাড়াবাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা জেলার মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। রান্নার কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহার করত পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে দূর্গাপুর এলাকার সোহাগ মণ্ডলের ভাড়া বাড়িতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু মেয়েটি দগ্ধ হলে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে দগ্ধদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক সোহাগ মণ্ডল বলেন, যে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থাকি না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার ওই বাড়িতে গ্যাসের কোনো লাইন নেই। ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার ব্যাবহার করেন। বিষয়টি আসলে কী হয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে জানার পরই বলতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের জোন-৪ এর উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, রোববার ভোররাতে আমরা জিরাবো এবং কাঠগড়া এলাকায় দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নির্বাপন করেছি। কিন্তু গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা গেছেন এবং বাকিরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।