সম্প্রতি মাসব্যাপী ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সুহৃদ সমাবেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, সেভ ক্যাম্পাস’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরুর পর সুহৃদরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা.
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। রাবি সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়। প্রশাসন ভবন চত্বর ছাড়াও তারা গ্রন্থাগার চত্বর, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল এলাকা এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করেন।
সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা মাসব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতি সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।