ভাগ্যের অন্বেষণে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর সর্বশেষ ২০১১ সালে দেশে এসেছিলেন চুনারুঘাট উপজেলার বগাডুবি গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান চৌধুরী। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিকূল থাকায় এখন পর্যন্ত দেশের মাটিতে পা রাখেননি উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্যের কোভেন্ট্রি বিএনপির সাবেক এই সদস্য সচিব। এর মাঝেই শেষবার ছেলের মুখ দেখতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই চলে যান তাঁর মা। অথচ ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে শাহজাহানকে।
জানা যায়, ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন শাহজাহান চৌধুরী। ২০১১ সালের ১ মার্চ দেশে এসে ২৭ মার্চ ফিরে যান যুক্তরাজ্যে। এর পর গত ১৩ বছরের মধ্যে একবারও দেশে আসেননি তিনি। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তাঁর মা ও দুই বোনের মৃত্যু হয়। এর কোনোবারই ফিরতে পারেননি শাহজাহান। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিলেটের একটি ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে শাহজাহানকে। মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট মসজিদ থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একদল ছাত্র-জনতা বন্দরবাজার এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। ওই সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর এলাকার আকবর আলী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ১০০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে দায়ের করা হয় এই মামলা। আসামির তালিকার ৭৬ নম্বর নামটি শাহজাহান চৌধুরীর।
মামলায় উল্লিখিত সময় দেশে না থাকলেও ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহজাহান চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে এমন ‘গায়েবি মামলা’র জড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সহজভাবে দেখতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা বলছেন, সুপরিকল্পিতভাবে প্রবাসী শাহজাহানকে আসামি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে দ্রুত এ মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার পাশাপাশি এই কাজে জড়িত ব্যক্তিদের
চিহ্নিত করারও দাবি করেন। তা না হলে যে কোনো সময় দলের অন্য নেতাকর্মীও এমন সংকটে পড়তে পারেন।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং শাহজাহান চৌধুরীর পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সময় তাঁর বাংলাদেশে না থাকার বিষয়টি পরিষ্কার হয়। অন্যদিকে সে সময়ই তিনি যে দেশে ছিলেন– তা পুলিশ বা মামলার বাদী নিশ্চিত করতে পারেননি। এমনকি মামলার বাদী আকবর আলী শাহজাহানের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে কীভাবে নাম উল্লেখ করে ইনি শাহজাহানকে মামলার আসামি করেছেন সে প্রশ্নের কোনো উত্তরও দেননি। সমকালের সঙ্গে কথা বলার সময় আকবর আলী মামলার ৭৬ নম্বর আসামি শাহজাহান সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো কিছুই বলতে পারেননি। তিনি এখন খুব অসুস্থ বলে কল কেটে দেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক এ ব্যাপারে সমকালকে জানান, সরকার পতনের পর অনেক মামলা হয়েছে। প্রবাসে কেউ থাকাবস্থায় যদি মামলায় আসামি হন, তদন্তে তেমনটা পাওয়া গেলে চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজাহান ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং হামলায় অংশ নিয়েছেন এমন কোনো তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজ আলী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মা-বোন মারা গেলেন, সে সময়ই তাঁকে কেউ দেখিনি। শাহজাহান চৌধুরী প্রায় ১৩ বছর ধরে দেশেই নেই। তাহলে উনি কীভাবে হামলা করলেন? যতদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগের কথা শোনা যায়নি।’
চুনারুঘাটের দি জাহাঙ্গীর ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মো.
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সমকাল থেকে যোগাযোগ করা হয় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শাহজাহান চৌধুরীর সঙ্গে। এ সময় আক্ষেপের সুরে শাহজাহান বলেন, ছাত্র রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি, ভোগদখল, চাঁদাবাজিতে ছিলেন না কখনও। জীবিকার তাগিদে যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০১১ সালে শেষবার দেশে যান। এর পর আর যাওয়া হয়নি। নিজের মা-বোনের মুখও শেষ দেখা হয়নি। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক
ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন পুলিশ আসামি খোঁজার নাম করে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তিনি কোথায় ছিলেন তা জানতে চাইলে শাহজাহান চৌধুরী জানান, মামলার এজাহারে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার যে সময় ও স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, সে সময় তিনি যুক্তরাজ্যের কোভেন্ট্রিতে অবস্থান করছিলেন। তাঁর পাসপোর্ট ও কোভেন্ট্রি বিএনপি নেতাদের বক্তব্যেও একই তথ্য জানা গেছে।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে একজন পুরোপুরি ছাত্রনেতাই ছিলাম। সেই সঙ্গে ফুটবলে জাতীয় পর্যায়ের একজন উদীয়মান খেলোয়াড়ও। বিগত ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সঙ্গে আঁতাত করা স্থানীয় বিএনপির কিছু সুবিধাবাদী নেতার প্রতিহিংসার শিকার হই। যে কারণে রাজনীতির পাশ কাটাতেই সব ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে আসি। সেখানেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভূতুড়ে মামলার হয়রানি।’
যুক্তরাজ্যের কোভেন্ট্রি বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সমকালকে বলেন, ‘শাহজাহান চৌধুরী যুক্তরাজ্যেই আছেন। আমার জানামতে, তিনি ১৮ জুলাই বাংলাদেশে যাননি। আমরা সবসময় একসঙ্গে চলি। একই এলাকায় একই সার্কেলে চলা প্রবাসীরা একে অন্যের পরিবারের সদস্যের মতো। তিনি এর মাঝে দেশে গেলে আমরা অবশ্যই জানতাম। আমিসহ এখানকার বিএনপি নেতাকর্মীকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা শুধু রাজনীতিবিদ নই, দেশের রেমিট্যান্সযোদ্ধাও। শাহজাহান চৌধুরী দলের কাজ করার পরও যদি ভুয়া মামলা ঠুঁকে দেওয়া হয় আমাদের নামে, তাহলে আমরা যাবো কোথায়?’
শাহজাহানকে দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো গায়েবি মামলায় বিএনপিকে ভোগানোর এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে দলকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের উচিত প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশে না আসা শাহজাহান চৌধুরীকে ‘গায়েবি মামলায়’ আসামি করার ঘটনাটি উদ্বেগের। কোনো পক্ষের দ্বারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশ-বিদেশে থাকা দলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি করেন। শাহজাহানের বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তৃণমূলে অনাস্থা ও অস্বস্তি সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তারা। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি এসব বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কড়া বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এসব নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা-মামলায় জর্জরিত। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন একজন বিএনপিপন্থি নেতা। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রবাসে থেকেও সাবেক নেতারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আসামি। এসব ঘটনা প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও ফ্যাসিস্ট ম্যাকানিজম সক্রিয়। এখনও বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপদ নন।
সিলেট বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস বলেন, ‘সাবেক বা বর্তমানের বিষয়টি সাংগঠনিক। তবে নৈতিকভাবে বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারীরা সবসময়ই দলের। বিগত সরকারের সময় এমন গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীকে নাজেহাল করা হয়েছে। এখনও যদি সেই অপচর্চা অব্যাহত থাকে, সেটা আপত্তিকর। আমরা দলীয়সহ সম্ভাব্য প্রতিটি সূত্রে নেতাকর্মীর জানাতে চাই, এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এমন মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাবেন। সেগুলো আমরা দেখব।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাতে এসব গায়েবি মামলায় দলীয় নেতাকর্মীকে হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এসব মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারা বিএনপির নেতাকর্মীকে এসব মামলায় ফাঁসিয়ে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তাদের ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হবে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক সমকালকে জানান, সরকার পতনের পর অনেক মামলা হয়েছে। প্রবাসে কেউ থাকাবস্থায় যদি মামলায় আসামি হন, তদন্তে তেমনটা প্রমাণ হলে চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন চ ধ র র ২০২৪ স ল র ন ত কর ম ক ছ ত র জনত ২০১১ স ল র র জন ত সরক র র য় ব এনপ র ব ষয়ট ব এনপ র প র নন ন র পর সদস য সমক ল র সময় ত করত হয়র ন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।
আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।
তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।