Samakal:
2025-04-15@08:56:25 GMT

বাড়ি ফেরা যে কত রকমের হতে পারে

Published: 17th, February 2025 GMT

বাড়ি ফেরা যে কত রকমের হতে পারে

‘বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় পড়েছিস?’/-‘না স্যার।’ কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘রহস্যময় জঙ্গলবাড়ি’ উপন্যাসের শুরুর দিকে কিশোর অর্ণব ও তার শিক্ষকের এই কথোপকথন। ‘চাঁদের পাহাড়ে’ বাঙালি তরুণের পূর্ব আফ্রিকায় চাকরি, সেখান থেকে হীরার খনির সন্ধানে বের হওয়া। একের পর এক ভয়ংকর প্রাণীর সঙ্গে লড়াই। সঙ্গীর মৃত্যু। আগ্নেয়গিরি ডিঙানো। অ্যাডভেঞ্চার আর টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই উপন্যাস। শেষে শঙ্কর জাহাজে বাড়ি ফেরে। এই একরকম বাড়ি ফেরা আমরা দেখি।

ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসে অর্ণবের বাড়ি ফেরাটা অন্যরকম। সে অপহরণকারীদের ফাঁদে পড়ে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। সেখান থেকে এক সময় সে পালিয়ে আসে। তার এই বাড়ি ফেরাটা নিশ্চয়ই ছিল আনন্দের। কিন্তু তার পকেটে ছিল না টাকা। ফলে তাকে ফিরতে হয় অনেক কষ্টে। চালককে অনুরোধ করে গাড়িতে চড়ে আবার হেঁটে। বাড়ি ফেরার পর অবশ্য অন্যরা আনন্দিত হয়।
তার এই বাড়ি ফেরার কথা পড়তে গিয়ে আমার মনে পড়ে গেল মাইকেল চাকমার কথা। তিনিও বাড়ি ফিরেছেন গত বছর। চোখ বেঁধে চট্টগ্রামের একটি পাহাড়ের ওপর তাঁকে ফেলে রাখা হয়। সেখানে চোখ খুলে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এক মোটরসাইকেল চালককে অনুরোধ করে বাসস্ট্যান্ডে যান। বাসে উঠে চট্টগ্রাম শহরে আসেন। টাকা না থাকায় পদে পদে তাঁকে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। মানুষর কাছে হাত পাততে হয়েছে। এই এক বাড়ি ফেরা দেখলাম আমরা বাস্তবে।

আমাদের মাথায় রাখতে হবে ‘রহস্যময় জঙ্গলবাড়ি’ কিশোর উপন্যাস। ছোট ছোট বাক্য, সাবলীল ভাষা, সহজ-সরল উপস্থাপনা– এর বিশেষ গুণ। এই উপন্যাসে যেমন আছে অ্যাডভেঞ্চার, তেমনি আছে রূপকথা। অর্ণব অপহরণের পর যেখানে ছিল, সেটি পুরোনো একটা বাড়ি। এটাই মূলত জঙ্গলবাড়ি। আর এর রহস্য হচ্ছে রাজকন্যা স্বর্ণলতা। আছে তার দেহরক্ষী রুস্তম। অর্ণবকে মুক্ত করতে সহায়তা করে এরা দু’জন।
উপন্যাসের শুরু এক অদ্ভূত স্বপ্ন দিয়ে। পরপর তিন রাত একই স্বপ্ন। স্বপ্নে সে রহস্যময় জঙ্গলবাড়িটা দেখে। সেখানে দু’জন মানুষ। বাস্তবে সে এমন বাড়ি কখনও দেখেনি। এই স্বপ্ন দেখার কিছুদিন পর তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে সেই জঙ্গলবাড়িতে নিয়ে আসে। এই বাড়ির বর্ণনাটা চিত্তাকর্ষক। একদিন ঘুম ভেঙে অর্ণব দেখে ‘বাইরে বোধহয় প্রখর জ্যোৎস্না ফুটেছে। দরজার ফুটো-ফাটা দিয়ে চাঁদের আলো ঢুকেছে।’ এমন চাঁদের আলোয় কি কেউ ভয় পায়? তার ভয়ও কেটে যায়। সে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এভাবে সে মুক্ত হয়।
বইটি ইতোমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রথম ১০ দিনে দ্বিতীয় মুদ্রণ ছেপেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা। ১১২ পৃষ্ঠার বইয়ের দাম ৩০০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। প্রচ্ছদেও রহস্য ধরা পড়েছে।

হানযালা হান, কবি ও সাংবাদিক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল উপন য স রহস য

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।

তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”

মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাহাড়ে শণ কাটতে গিয়েছিলেন যুবক, অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • অপহরণকারী আখ্যা দিয়ে বাবাকে পেটাচ্ছিল, পাশে কাঁদছিল শিশু রাইসা
  • মেয়েলি কণ্ঠে সম্পর্ক করে অপহরণ, যুবক গ্রেপ্তার
  • যশোর থেকে অপহৃত যুবক গোপালগঞ্জে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
  • টেকনাফে যুবক অপহরণ, দশ লাখ মুক্তিপণ দাবি  
  • টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত
  • মায়ের জন্য কাঁদছিল শিশুটি, অপহরণকারী ভেবে বাবাকে পেটালেন জনতা