নিলামে ওঠা ৪৪টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি ছিল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার। পাঁচটি ছিল টয়োটা হ্যারিয়ার। দুইটি টয়োটা র‍্যাভ ফোর ও একটি টয়োটা এস্কোয়ার। বিলাসবহুল এসব গাড়ির বেশির ভাগেরই দাম শো-রুমে ৮ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু নিলামে সর্বোচ্চ তিন কোটি ১০ লাখ টাকার দাম পড়েছে মাত্র একটি গাড়ির। সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানি করা ৯টি ল্যান্ড ক্রুজারের দামই দেয়নি কোনো ক্রেতা। তাদের আনা ২৪টি গাড়ির মধ্যে ১৫ টিতে আগ্রহী ক্রেতা থাকলেও তারা সংরক্ষিত মূল্যের অর্ধেকেরও কম দর দিয়েছেন। সোমবার টেন্ডার বাক্স উন্মুক্ত করে তাই হতবাকই হয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। 

তারা বলছেন, প্রত্যাশিত মূল্যের অনেক কম দর পাওয়াতে গাড়িগুলো আবার নিলামে তোলা হতে পারে। এসব গাড়ির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো.

সাকিব হোসেন বলেন, ৪৪টি গাড়ির মধ্যে এমপিদের আনা ২৪টি গাড়ি একবারেই নতুন। আমাদের প্রত্যাশা ছিল নিলামে ভালো দাম মিলবে। কিন্তু প্রত্যাশার অর্ধেক দামও মেলেনি। রিজার্ভ ভ্যালুর ৬০ শতাংশ কাভার করেছে এমন গাড়ি মাত্র ১৪-১৫টি। নিলামে ওঠা গাড়ির ব্যাপারে তাই আলোচনা হবে নিলাম কমিটির পরবর্তী সভায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে এনবিআর।’

নিলামে অংশ নেওয়া এস এ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘সাবেক এমপিদের আনা গাড়িগুলোতে অনেকের আগ্রহ ছিল। কিন্তু সংরক্ষিত যে মূল্য রাখা হয়েছে, তার ৬০ পার্সেন্ট (শতাংশ) বিড দিয়ে আমাদের পক্ষে গাড়িগুলো নেওয়া সম্ভব না। তবু এবার খুব অল্প মূল্য দিয়ে বিড ধরে রাখছি। যেন পরবর্তী নিলামে এবারে দেওয়া মূল্যের চেয়ে কিছু বেশি দিয়ে গাড়িগুলো নিতে পারি।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের ভুল বানান সম্বলিত একটি নিবন্ধন ফরমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি সামনে আসার পর থেকে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ফরমে এত বড় ভুল কিভাবে হয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে সিদ্দিকা ত্বহা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফরমের ছবি তুলে পোস্ট দেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এভাবেই কি আমরা শিখব?’

দেখা গেছে, ওই ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যায়’ এবং রাজশাহীকে লেখা হয়েছে ‘লাজশাহী’। এছাড়া নিবন্ধীকরণ বানানও ভুল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. ইপ্তি আক্তার বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের যেকোন দাপ্তরিক নথিতে বাক্য ও বানানের ভুল মেনে নেওয়া যায়নি। হলের ফরমে খুব বেশি লেখা নেই। এ অল্প কিছু লেখায় যদি ৪-৫টা ভুল থাকে, তা সত্যি লজ্জাজনক।”

তিনি বলেন, “সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো- ‘বিসমিল্লাই গলদ’ করে রেখেছে। হল প্রশাসনকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত এসব বিষয়ে। হল প্রশাসনকে বলতে চাই, পরবর্তী সময়ে কোন নোটিস দিলে অবশ্যই যেন  যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হয়।”

রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসমত আরা বেগম বলেন, “ছবিটি আমার নজরে এসেছে। তবে এখানে পুরো ছবিটা আসেনি। এখানে কেউ ইন্টেনশনালি আমাকে এবং আমার হলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করেছে কি না- সেটিও দেখতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি এটি আমার হলের কোন ডকুমেন্ট হয়ে থাকে, অবশ্যই এটি সংশোধন করবো এবং সংশ্লিষ্ট স্টাফকে সতর্ক করব। হলের যেকোনো বিজ্ঞপ্তি অথবা ডকুমেন্টে বানানের বিষয়ে পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, “আমি মনে করি এগুলো সতর্কতার অভাব, সিরিয়াসনেসের অভাব। অনেক সময় ভুলবশত প্রিন্টিং মিস্টেক হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর
  • ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে রিয়াদে বৈঠক করলেন আরব নেতারা
  • ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যা জানালো অধিদপ্তর
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের আগুন
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের ভয়াবহ আগুন
  • শিক্ষার্থীরা চাইলেন এক হলের নাম পরিবর্তন, প্রশাসন বদলাল ৮ হলের
  • ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শিবির’ নিয়ে যা বললেন ছাত্রদল সম্পাদক
  • সরকারকে ২ দিনের আলটিমেটাম রাবি শিক্ষার্থীদের
  • পরবর্তী সরকারকেও সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে
  • রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!