ছেলে ও বাবা একই দলে খেলছেন—বিষয়টা পাড়ার ক্রিকেটেও খুব একটা পরিচিত নয়। অথচ মোহাম্মদ নবী কিনা স্বপ্ন দেখছেন ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার! তবে নবীর স্বপ্নটা যে খুব কঠিন কিছু, তা–ও আপাতত মনে করার কারণ নেই।

বয়স ৪০ হয়ে গেলেও এখনো বেশ ফিট নবী। দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন, জাতীয় দলেও পারফর্ম করছেন। অনেকে হয়তো ভেবেছেন, এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার পর জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন আফগান তারকা।

এ রকম একটা ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি নিজেও। তবে এখন যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দোরগোড়ায়, তখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘ভাবছেন’ বলে নতুন করে জানিয়েছেন নবী। একেবারে ছেড়ে হয়তো দেবেন না, কিন্তু ওয়ানডেতে কমই দেখা যাবে নবীকে।

ক্যারিয়ারে বাকি থাকা এই ‘কম’ ম্যাচগুলোর অন্তত একটিতে ছেলে হাসান ইশাখিলের সঙ্গে মাঠে নামতে চান বলে আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নবী। গত বছর অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাসান। তাঁর সঙ্গে খেলার প্রসঙ্গে নবী বলেছেন, ‘এটা আমার স্বপ্ন। আশা করি, আমরা এটা সত্যি করতে পারব। হাসান খুব ভালো করছে…সে খুব পরিশ্রমী, আমিও তাকে পরিশ্রম করতে বলি।’

মোহাম্মদ নবীর ছেলে হাসান ইশাখিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ