জাবিতে শাখা ছাত্রদলের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি
Published: 17th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে জমে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) থেকে শুরু করে শহীদ মিনার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিচ্ছন্ন করেন তারা।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, “ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগমনের ফলে প্রচুর আবর্জনা জমে যায়। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, শুধু সংগঠনের সদস্যরা নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যেন পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাসের বিষয়ে সচেতন হয়। পরিচ্ছন্ন জাহাঙ্গীরনগর গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে জাবিতে গাজার মানচিত্র এঁকে গণহত্যার অভিনব প্রতিবাদ
বর্ষবরণের দিনে নানা উৎসবে মেতেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরই মাঝে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গাজার প্রতীকী মানচিত্র এঁকে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাবির একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের মাঠে তারা এ মানচিত্র অঙ্কন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিএসসির সামনের মাঠে অঙ্কিত এ মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে নিমার্ণাধীন ভবনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা রঙে। এছাড়া লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব অঞ্চল, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া শান্তির প্রতীক হিসেবে রোপণ করা হয়েছে একটি জলপাই গাছ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
জাবিতে চালু হলো ইলেকট্রিক কার্ট, কমবে দুর্ভোগ
দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতীকী মানচিত্রের উদ্বোধন ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ৪৮তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আজ আমরা যেমন আনন্দের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করেছি, তেমনি গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সেখানকার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এই মানচিত্র নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।”
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “এই আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণের ওপর যখন নির্বিচারে হামলা চলছে, তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নীরব থাকা নয়, বরং প্রতিবাদ জানানোই দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এই প্রতীকী মানচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায় ও মানবতার পক্ষে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী