শহরের সড়ক দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান
Published: 17th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকায় সড়ক দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লা এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ৩০টিরও বেশি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে প্রশাসন। এছাড়াও বালুরমাঠ এলাকায় সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা খাবারের দোকান ও চায়ের দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
ফতুল্লার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর জানান, অভিযানে প্রায় ৩০ টির বেশি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের একটি দল অংশগ্রহণ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতাকে বাসা থেকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদকে তাঁর বাসা থেকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার রেলস্টেশন এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সেলিম মাহমুদের স্ত্রী বিথী মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাত একটার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের বাড়ির গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে সেলিম মাহমুদকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় বাসা থেকে তিনটি মুঠোফোন নিয়ে যান এবং তাঁদের নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে ওয়াজিদ মাহমুদকে মারধর করেন। তাঁর স্বামী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেলিম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করছেন। যেখানেই শ্রমিকেরা সমস্যায় পড়েন, সেলিম মাহমুদ তাঁদের পাশে দাঁড়ান। রবিনটেক্স কারখানায় ইউনিয়ন গঠনের জন্য গত দেড় বছর আগে ওই কারখানার শ্রমিকেরা শ্রম আদালতে কমিটি জমা দিয়েছিল। এটা বানচাল করার জন্য কয়েক দিনে ইউনিয়ন নেতাসহ ২২ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। শ্রমিকদের আটকের প্রতিবাদ করার কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। যে মুজিববাদের বিরুদ্ধে এত কথা হচ্ছে, অথচ মুজিবের আমলের আইন দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো। এটা কী অসংগতি নয়। আমাদের প্রশ্ন, শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো কি অপরাধ? আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসমাইল বলেন, রূপগঞ্জের পোশাক কারখানা রবিনটেক্সে শ্রমিক আন্দোলনের উসকানিদাতা হিসেবে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী সেলিম মাহমুদকে আটক করে। পরে তাঁকে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রবিনটেক্স বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ছাঁটাই বন্ধের দাবিতে শ্রমিকেরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এ ঘটনায় হামলা, ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করা হয়।