কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় স্পোর্টিং কেসির বিপক্ষে মাঠে নামবে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটি হবে কানসাসের চিলড্রেনস মার্সি পার্কে।

সংবাদ মাধ্যম যে আবহাওয়া পূর্বাভাস দিয়েছে সে অনুযায়ী, ম্যাচের সময় কানসাসের তাপমাত্রা থাকবে মাইনাস ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে বাতাসের তীব্রতার কারণে মাইনাস ২৪  ডিগ্রী অনুভূত হবে। 

তীব্র এই শীতে মেসির খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তিনি খেললে শরীরের রক্ত জমাট হয়ে ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা আছে। যে কারণে মেসি ওই ম্যাচে খেলবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকি সুয়ারেজদের খেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা। 

সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মেসি ম্যাচটা খেলতে চান না। ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্রাঙ্কো পানিজো সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, মেসি এই তীব্র শীতের মধ্যে খেলতে চান না। এতে করে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শুরুটা মেসিকে ছাড়াই হতে পারে। 

ম্যাচটি অবশ্য স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মায়ামির পক্ষ থেকে ম্যাচটি স্থগিত করে উষ্ণ কোন ভেন্যুতে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অথবা কানসাসের আবহাওয়ার উন্নতি হলে পরবর্তীতে খেলা যায় কিনা ওই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে স্পোর্টিং কেসি নাকি ম্যাচটি আয়োজনে বদ্ধ পরিকর। মায়ামির বিপক্ষে সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তিনি।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর পথসভায় বক্তারা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা ছাড়া আট মাসে এ চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পথসভায় এ কথা বলেছেন বক্তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে এ সভা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখাসহ সাত দফা দাবিতে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে ছয়টি পথসভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ। এর অংশ হিসেবে সকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সভাটি হয়।

আজকের সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের বাস্তব রূপ দিতে হবে। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সরকারের কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা নেই।

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ২৭ বছরে এই চুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, কোনো ধরনের মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। যারা চুক্তি করেছিল, তারাও করেনি। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও করছে না।

রুহিন হোসেন বলেন, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশ শেষে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার এলাকায় সাত দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ