জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: সেলিমা রহমান
Published: 17th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। একজন বলছে সংস্কার, একজন বলছে স্থানীয় নির্বাচন। আমরা বলছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। কারণ জাতীয় নির্বাচন হলে জনগণ আস্থা ফিরে পাবে।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকেরপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, “গুম-খুনের জন্য জন্য দায়ী শেখ হাসিনা এবং তার দলবল। তাদের বিচার হতেই হবে।”
আরো পড়ুন:
গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীনতা মূল্যহীন: মঈন খান
আ.
তিনি বলেন, “বিএনপি আওয়ামী লীগের কোনো দোসরদের জায়গা দেবে না। তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রব্যমূলের সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্রদল ও যুবদলকে কাজ করতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১৫ বছর আপনাদের জন্য কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। তাকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে এবং এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ১৬ বছর একটানা নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে শেখ হাসিনা এবং তার দলবল। বহু মানুষকে হত্যা করেছে তারা। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, আওয়ামী লীগের কোনো দোসর যেন বিএনপিতে জায়গা না পায়। কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।”
মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়ার সভাপত্বিতে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান ও সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সদস য রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৮০: আইএসপিআর
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত সাত দিনে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৬ মার্চ এই অভিযান চালানো হয়।
আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় ২০ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামি, মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪৩টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি অস্ত্র, পাসপোর্ট, চোরাই মুঠোফোন, ট্যাব, সিমকার্ড, স্বর্ণালংকার, ট্রলার, মোটরসাইকেল, ট্রাক, ড্রেজার, ভেকু, এক্সকাভেটর, ডাম্পার ও অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনাক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।