চার জেলার এসপি প্রত্যাহার, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ
Published: 17th, February 2025 GMT
কক্সবাজার, যশোর, নীলফামারী ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার পৃথক চিঠিতে তাঁদের প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। চারজনকেই এক দিনের মধ্যে (মঙ্গলবার) পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যাহার করা চার এসপি হলেন কক্সবাজারের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, যশোরের মো.
কক্সবাজার ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ছাড়া অন্য দুজনের (যশোর ও নীলফামারী) বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা জানা যায়নি। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, যেহেতু এক দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে সদর দপ্তরে নেওয়া হচ্ছে, এর মানে হলো এটা স্বাভাবিক বদলি নয়। নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির কারণেই এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত চার এসপি দেওয়া পৃথক চারটি চিঠির ভাষা একই। ওই চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে রিপোর্টের নির্দেশ।’ এ ছাড়া উল্লেখ রয়েছে, ‘পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় রিপোর্ট করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এই স্মারক জারি করা হলো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, চার এসপিকে দায়িত্বভার হস্তান্তর করে আগামীকালই (মঙ্গলবার) পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এসপ
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা মসজিদে এবার যত টাকা পাওয়া গেল
কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা গণনা করে এবার পাওয়া গেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এসব টাকা রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলার পর টাকা গণনা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম ও পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলীর উপস্থিতিতে দান বাক্সগুলো খোলা হয়। এতে দেশিয় মুদ্রার পাশাপাশি বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং গহনা পাওয়া গেছে। টাকাসহ সকল দানের উপাদান ২৮টি সিনথেটিক বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় গণনার কাজ শুরু হয়। বিদেশি মুদ্রা ও গহনা পরবর্তী সময়ে মূল্য নির্ধারণ করে ব্যাংকে জমা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
এর আগে সর্বশেষ গত বছর ৩০ নভেম্বর ১১টি দান বাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।
পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সের নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদাসার ৭৫ জন ছাত্র, ৪৫ জন শিক্ষক ও স্টাফ, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ১৯৪ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৮০ জন স্টাফ টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। নিরাপত্তায়য় প্রশাসন ক্যাডারের ২৪ কর্মকর্তা, ১৪ সেনা সদস্য, ৩০ পুলিশ সদস্য ও ৯ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি তিন মাস অন্তর দানবক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এবার রমজানের কারণে খোলা হয়েছে চার মাস ১২ দিন পর। দানবাক্সের বাইরেও মানতকারীরা বিভিন্ন জাতের গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, কবুতর, দুধ এবং সবজিও দান করে থাকেন। এগুলো উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেছেন, দান বাক্সে পাওয়া টাকার লভ্যাংশ থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদরাসার এতিম ছাত্রের সমুদয় খরচসহ মসজিদ পরিচালনার খরচও মেটানো হয়। জমানো টাকা থেকে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের আরও দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মসজিদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণের কাজও করা হবে।