লংমার্চ ঘোষণা করে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়লেন অবরোধকারীরা
Published: 17th, February 2025 GMT
লংমার্চ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহবাগ মোড় ছেড়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনদের একটি অংশ। শহীদ পরিবারের স্বজনেরা তিন দফা দাবিতে আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার অবরোধের ফলে আশপাশের এলাকার সড়কেও তীব্র যানজট তৈরি হয়।
গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবার ব্যানারে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের দাবিগুলো হলো বৈষম্য নিরসনে আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে দুটি ক্যাটাগরি করা, প্রান্তিক এলাকায় আহতদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টোল ফ্রি হটলাইন সেবা চালু করা এবং আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাঁদের সুরক্ষায় আইন করা।
এসব দাবি আদায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের একজন মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দুই সপ্তাহের কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আগামী দু’সপ্তাহের জন্য ‘জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
ঘোষিত এ কর্মসূচির আওতায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে ‘শহিদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, গণসংযোগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, নাগরিক সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অনলাইন-অফলাইন প্রচার-প্রচারণা, দেয়াল লিখন’ শীর্ষক প্রচারণামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, জুলাই গণহত্যার সাত মাস অতিবাহিত হলেও খুনিদের বিচারের ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। খুনিরা বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোপনে সংগঠিত হচ্ছে, এমনকি ঝটিকা মিছিল করার মতো দুঃসাহসও দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কর্তব্য ছিল- আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় কর্তব্য ছিল- জুলাই গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ক্ষেত্রেই আশানুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। আহতদের এখনও নিজেদের চিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
আওয়ামী লীগকে ‘জঙ্গি’ সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে মোসাদ্দেক বলেন, সরকারের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের হীন চেষ্টা চলছে, যা জুলাইয়ের শহিদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেঈমানী। আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংগঠিত জুলাই গণহত্যা শুধু দেশীয় নয় বরং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পাশাপাশি জাতিসংঘ কর্তৃকও স্বীকৃত। আওয়ামী লীগ একটি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন, যারা শুধু জুলাইয়ে নয় বরং গত ১৫-১৬ বছর নারী-পুরুষ এমনকি শিশুদেরকে খুন করে উল্লাস করেছে। শুধু জুলাই গণহত্যাই নয়, শাপলা গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুনসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সহস্রাধিক কারণ রয়েছে।