ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানল থেকে সাংবাদিকরাও নির্যাতিত হয়েছেন : মামুন মাহমুদ
Published: 17th, February 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানল থেকে সাংবাদিকরাও নির্যাতিত হয়েছেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সেই সরকারের পতন হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের সমালোচনা করবেন। আমাদের দোষত্রুটি তুলে ধরবেন। কিন্তু কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় বিএনপি নিবে না। কেননা আমাদের নেতা তারেক রহমান সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই মোতাবেক চলছি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কমিটি বাতিল করেছেন। তাই ঢালাওভাবে দলকে দোষারোপ করা যাবে না। যে সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে চলে বা চলবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিগত সময়গুলোতে আপনারা সেগুলো দেখেছেন। আমরা জনগণের সাথে আছি এবং তাদের সাথেই থাকতে চাই।
মামুন মাহমুদ বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যে কমিটি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দল আমার ওপর আস্থা রেখেছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোন অন্যায় করিনি। যদি কেউ দেখাতে পারেন তবে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।
এসময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ সরক র র আম দ র ব দ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জেলেদের ওপর বিএসএফের হামলা
বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা একদল জেলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর বয়ারসিং সংলগ্ন উলোখালীর চর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এসময় জেলেদের মারধর করে তাদের দু’টি নৌকা বিএসএফ সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
হামলার সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া জেলেরা সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে লোকালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে দাবি তাদের স্বজনদের।
বিএসএফের হামলার শিকার জেলেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে রমজান, শাহাজান, ফরেজ গাজীর ছেলে শাহাদাৎ, শাহাজান, আতাউর, সৈয়দ গাজীর ছেলে আব্দুল, মানিকপুর গ্রামের কেরামত ও কৈখালীর নুর মোহাম্মদ।
ঘটনার শিকার শাহাদাৎ হোসেন জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালী স্টেশন থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে চারদিন আগে তারা সুন্দরবনে যান। তিনটি নৌকার ১২ জন জেলে দু’দিন ধরে বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত উলোখালীর চরে পাটা জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দু’টি স্পিডবোট নিয়ে বিএসএফ সদস্যরা আকস্মিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের মারধর শুরু করেন।
শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, এসময় তারা পেতে রাখা জাল ও সেখানে থাকা নৌকা ফেলে বনের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এসময় জাল একইভাবে পাতা থাকলেও নৌকা দু’টি নিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বর্ডার এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়ার কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাল্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফের মারধরের শিকার আট জেলের মধ্যে ছয়জন তার এলাকার। বিএসএফ নৌকা নিয়ে উলোখালীর চর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় তারা উপায়ন্তর না পেয়ে পায়ে হেঁটে বনের মধ্য দিয়ে লোকালয়ে ফিরছেন। পরে বেশি লোকজন ও নৌকা নিয়ে গিয়ে সেখানে পেতে রাখা জাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। জেলেরা এলাকায় ফিরলে বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের জানানো হবে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান জানান, এখনো কেউ বিষয়টি তাদের অবহিত করেনি। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজিবি কৈখালী ক্যাম্পের সুবেদার আবু বক্কার জানান, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টি তাদের অবহিত করেছেন। ঘটনাটি বয়ারসিং এলাকার হওয়ায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ জানাতে সেখানকার বিজিবি (রিভারাইন) ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।