ই-নামজারি, খাজনা, খতিয়ান তোলাসহ ভূমিসেবায় সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

আলী মজুমদার বলেন, সনাতনী ওইসব সেবা থেকে এখন আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি, এই ট্রানজেকশনটার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে মানুষের এসব অসুবিধা দূর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান, ভূমি ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে আসুক।

‘‘মার্চের মধ্যেই সারা দেশে ই-নামজারি (মিউটেশন), ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ানের মতো অনলাইন সেবাগুলো ‘ইউজার ফ্রেন্ডলি করা হবে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে এটা করে ফেলবো। আশা করছি, তার আগেই মানুষ সেবাগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারব’’- জানান তিনি।  

উপদেষ্টা জানান, ‘‘এখন ই-নামজারি করা যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত একটু সমস্যা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটা নেই। ক্রমান্বয়ে এই সমস্যা আরও কমে আসবে। আমাদের কাছে প্রচুর লোক আবেদন করেছে।’’

‘‘আমরা যখন ডিজিটাল মাধ্যমে যাই তখন সারা দেশে সাড়ে ৪ লাখের মতো আবেদন পেন্ডিং ছিল। সেটা এখন কমে এসেছে। দিন দিন এটা আরো কমে যাবে। তখন মানুষের হয়রানিও কমে যাবে’’, বলেন তিনি।

উপদেষ্টা জানান, ‘‘শিগগির আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে। আমরা এসব খাতে প্রশিক্ষিত জনবল ও কোম্পানিগুলোর সহায়তা পেতে শুরু করেছি। আশা করছি, সেদিন বেশি দূরে না যে সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালের আওতায় আসবে। বর্তমানে ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করছে।’’

১০ মার্চের আগে কি পেন্ডিং আবেদনগুলো শেষ হয়ে যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘‘এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, আবেদন প্রক্রিয়া চলমান আছে, প্রতিনিয়ত আবেদন পড়ছে। আগেরগুলো শেষ হয়ে যাবে, এর মধ্যে নতুন আবেদন আসবে। বিষয়টা হচ্ছে, সিস্টেমটা ব্যবহার উপযোগী হবে কি না, আশা করছি সেটা ১০ মার্চের আগেই হয়ে যাবে।’’

এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সলেহ আহমেদ, খাদ্য সচিব মো.

মাসুদুল হাসানসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ম র চ র উপদ ষ ট সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

হাইওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডিবির ৫ সদস্য

বগুড়ায় দুই তরুণকে তুলে নিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত রোববার রাত ৩টার দিকে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মুক্তিপণের নগদ দুই লাখ টাকা, ডিবির পোশাক, পরিচয়পত্র ও একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার এসআই শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মাহবুব আলম, কনস্টেবল বাশির আলী এবং তাদের মাইক্রোবাসের চালক মেহেদী হাসান। 

পুলিশ সূত্র জানায়, আরএমপির গোয়েন্দা শাখার পাঁচ সদস্য রোববার রাতে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আসেন। তারা জুয়া খেলার অভিযোগে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘরকান্দি গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাব্বী হাসান ও একই এলাকার শেরবান খানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরে গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দরকষাকষি করে দুই তরুণের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

বগুড়া জেলা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানা এলাকায় ডিবির মাইক্রোবাসটি থামানোর চেষ্টা করে। না পেরে তারা কুন্দারহাট হাইওয়ে থানাকে বিষয়টি জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের এসআই মাসুদ রানার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়। এ সময় ডিবির পাঁচ সদস্য তাদের পরিচয় দিয়ে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেন। হাইওয়ে পুলিশ আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়, ওই পাঁচজন কাউকে না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে বগুড়ায় গিয়েছিলেন। এর পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ডিবির পাঁচ সদস্যকে ওই রাতেই কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা হয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সোমবার তাদের নেওয়া হয় ধুনট থানায়। সেখানে অপহরণের শিকার রাব্বি হাসানের বাবা সেলিম হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেন। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

আটক পাঁচ ডিবি সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করে আরএমপি মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ