সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এড হক কমিটির সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির বাধার মুখে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত পন্ড হয়ে যায়। পরে এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল অফিসের নিচতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে ‘অফিস দখলমুক্ত করা এবং বিদেশে টাকা পাচার ও খেলাপি ঋণের মাধ্যমে ব্যাংক খাত ধ্বংসকারীদের মুখোশ উন্মোচন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আশঙ্কা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল জানান, ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছে। তবে সম্প্রতি কমিটির কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে এড হক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড.

মো. আজিজুর রহমান জানান, গত ৯ নভেম্বর থেকে নতুন সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি অফিস দখলমুক্ত করা হলেও সোমবার সকালে ছাত্রলীগের কিছু বহিরাগত সদস্য অফিসে প্রবেশ করে তাদের সদস্যদের মারধর করে বের করে দেয়।

সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল অভিযোগ করেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে অসাংগঠনিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ১৭ মে মনোনয়ন দাখিলের পরদিন ১৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা নজিরবিহীন।

সংগঠনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে নিরপেক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এএ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: কম ট র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে ১০ একর বনভূমি উদ্ধার

কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্যারাবনের গাছ কেটে চিংড়িঘের নির্মাণকারীদের দখলে থাকা ১০ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উপকূলীয় বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব জমি দখলমুক্ত করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি ও জেএএম ঘাট এলাকায় দুটি চিংড়িঘেরের সব বাঁধ কেটে ১০ একর জমি দখলমুক্ত করে বনবিভাগ।

জানা গেছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর জামিরছড়ি এলাকায় বিএনপিকর্মী মো. শাহাজানের নেতৃত্বে এবং জেএএম ঘাট এলাকায় বদরখালীর জনৈক মো. কাইছারের নেতৃত্বে প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে প্রায় ১০ একর জমিতে দুটি চিংড়িঘের নির্মাণ করা হয়। এসব অবৈধ চিংড়িঘের কেটে দেওয়ায় পরিবেশবাদীরা বনবিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপিকর্মী মো. শাহাজানের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।

উপকূলীয় বন বিভাগের গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী জানান, তাঁর নেতৃত্বে বনকর্মীরা ৫০-৬০ জন শ্রমিক নিয়ে চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে বন বিভাগের পৃথক ১০ একর জায়গা দখলমুক্ত করে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে ১০ একর বনভূমি উদ্ধার