Risingbd:
2025-04-26@09:56:17 GMT

শেষ হলো জাবির ভর্তি পরীক্ষা

Published: 17th, February 2025 GMT

শেষ হলো জাবির ভর্তি পরীক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার ষষ্ঠ দিনে কলা ও মানবিকী অনুষদভুক্ত (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ও চারুকলা বিভাগ) ‘সি-১’ ইউনিট এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ‘সি১’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।

কলা ও মানবিকী অনুষদভুক্ত (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) ‘সি১’ ইউনিটে আসনপ্রতি লড়েছেন প্রায় ৮৬ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে আসনপ্রতি ছেলে লড়েছেন প্রায় ৬৭ জন ও মেয়ে লড়েছেন প্রায় ৭৯ জন।

সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ কামরুল আহসান নতুন কলা ভবনে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি। এজন্য আমি সহকর্মীসহ সব অংশীজনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ও সহযোগিতা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷”

এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এবং ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য পর ক ষ র ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতজুড়ে কাশ্মীরি দুই বোনের প্রশংসা

কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় অন্যরকম ভূমিকা পালন করেন কাশ্মীরি দুই বোন—রুবিনা ও মুমতাজ। মঙ্গলবারের ওই হামলার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। তাদের এই মানবিকতা ও সাহসের প্রশংসা করচেন অনেকে। 

বৈসরন উপত্যকার পাশেই থাকে দুই বোন। পর্যটক গাইড রুবিনা ও মুমতাজ প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ঘোরান, দেখান কাশ্মীরের সৌন্দর্য। রুবিনার একটি অন্য নামও রয়েছে—‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’। কারণ তিনি পর্যটকদের হাতে নিজের পোষা খরগোশ তুলে দিয়ে ছবি তোলার সুযোগ করে দেন।

হামলার দিন অন্যান্য দিনের মতোই, রুবিনা ও মুমতাজ চেন্নাই থেকে যাওয়া একদল পর্যটকের গাইড হিসেবে ইকো পার্ক এলাকায় ছিলেন। দুপুরের দিকে আচমকা জঙ্গিরা হামলা চালালে আশেপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। 

জঙ্গিরা যখন আচমকা হামলা চালায়, তখন তাদের সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। তারা সবাই তখন আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ হাঁটতে পারছিলেন না, কেউ কেউ কাঁদছিলেন। রুবিনা ও মুমতাজ প্রথমে পর্যটকদের আশ্বস্ত করেন, এরপর প্রথমে একটি দলকে পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে স্থানীয় হোটেলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন।

এরপর ফিরে এসে আরও কয়েকটি দলকে একইভাবে নিয়ে যান। সেই সময় শুধু পথ দেখানোই নয়, পর্যটকদের মানসিকভাবে শান্ত রাখার কাজটাও করেন তারা। পর্যটকদের কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশনা দেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রুবিনা বলেন, 'সেই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পর্যটকদের প্রাণ রক্ষা করা। আমরা আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবিনি। সবাই কাঁপছিল, শুধু বলছিল, আমাদের বাঁচাও।'

ভারতজুড়ে এই দুই বোনের সাহসিকতা ও মানবিকতা এখন প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ গাইডের ভূমিকায় যারা কাজ করছিলেন, তারা এক মুহূর্তে হয়ে উঠেন রক্ষাকর্তা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ