ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলতে চান নবী, এখনই অবসর নয়
Published: 17th, February 2025 GMT
মোহাম্মদ নবীর বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। তার বয়সের পিছু নিয়ে ছেলেও হাজির হয়েছে জাতীয় দলের দরজায়। তাইতো মোহাম্মদ নবী এখনই অবসর নিতে চান না। পিতা-পুত্র একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলে তবেই অবসরে যেতে চান।
যদিও তিনি গেল বছর বলেছিলেন ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলে অবসরে যাবেন। তবে এখন তিনি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ভবিষ্যত নিয়ে।
নবী বলেন, ‘‘এগুলো আমার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে হচ্ছে না। আমি হয়তো সামনে কম কম ওয়ানডে খেলব। যাতে তরুণরা বেশি বেশি সুযোগ পায় এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ইতোমধ্যে আমি এ বিষয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আমি খেলতেও পারি, আবার নাও খেলতে পারি। দেখা যাক। সেটা অবশ্য আমার ফিটনেসের ওপর নির্ভর করবে।’’
আরো পড়ুন:
স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা না রাখার ব্যাখ্যা দিলো পাকিস্তান
৫ কোটির ‘ভিআইপি টিকিট’ বিক্রি করে পিসিবি প্রধান বসবেন সাধারণ বক্সে
নবীর ১৮ বছর বয়সী ছেলে হাসান ইসা খীল গেল বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন। তাইতো নবী এখন স্বপ্ন দেখছেন পিতা-পুত্র একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলার, ‘‘এটা আমার স্বপ্ন। আশা করছি সেটা আমরা পূরণ করতে পারব। সে খুব ভালো করছে। সে খুবই কঠোর পরিশ্রমী এবং আমি তাকে আরও পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করি।’’
‘‘আমি চাই সে তার নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুক। যদি আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলতে চান তাহলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। এখন কেবল ৫০ কিংবা ৬০ করা যথেষ্ট নয়, আপনাকে ১০০ উর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে হবে। সে আমার কথা শুনে এবং নিজেকে এগিয়ে নিতে কাজ করে। যখন সে আমার সঙ্গে কথা বলে তখন আমি চেষ্টা করি তাকে উপদেশ দিতে। যাতে সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়।’’
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তান রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারই প্রথম আফগানিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তারা সেরা ছয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে নেয়। শুধু তাই নয়, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তারা সেমিফাইনাল খেলেছিল। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাদের নিয়ে অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। এরপর ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে তারা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন জ ত য় দল
এছাড়াও পড়ুন:
সাত কলেজ নিয়ে শিগগিরই যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই খুব সুন্দর একটি যৌক্তিক সমাধান আসবে।
আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ হোটেল লা ভিঞ্চি হোটেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
ইরাবের উদ্দেশ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা হলেন ঐক্যের প্রতীক। এখানে আমরা ইউজিসির সবাই আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দসহ সবাই একটি টিম। আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে এর কারণ আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ। আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হতো। এতে প্রত্যেকটি ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই উপস্থিত থাকতেন। এখানেও এমন একটি সহাবস্থানের পরিবেশ দেখছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. একে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের (পকুরোয়া) সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।
ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইরাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইরাবে যারা সাংবাদিক রয়েছেন, তারা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাসহ সংবাদ প্রকাশ আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে। সেই জায়গায় তাদের অবদান প্রশংসনীয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল সেখানে থেকে আজকের যে উত্তরণ, সেই জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।