অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফরিদপুরে ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬
Published: 17th, February 2025 GMT
ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ডেভিল হান্টের বিশেষ অভিযানে ইউপি সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে রোববার বিকেলে ও ওইদিন দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকরামুজ্জামান ওরফে কুয়েতি আকরাম (৬৫), বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো.
জেলা পুলিশ ও স্থানীয় থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিদের গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সংশ্লিষ্ট থানার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা
ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এরআগে রোববার চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।