এ টি এম আজহারের মুক্তির দাবিতে কাল বিক্ষোভ–সমাবেশ করবে জামায়াত
Published: 17th, February 2025 GMT
কারাবন্দী জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি। বিকেল চারটায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
আজ সোমবার দলটি এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। আজহারুল কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখার সমালোচনা করেছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তাঁর প্রতি চরম অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, এ টি এম আজহার ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজহ র ল
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলার সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন।
এর আগে, আজ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন হাদিসুর রহমান। বিচারক আবেদনটি নাকচ করেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ হাদিসুর রহমানকে প্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৮ মার্চ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-০১) বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় হাদিসুর রহমান পলাতক ছিলেন।
সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলন পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টায় ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় হাদিসুর রহমানের মালিকানাধীন সৈয়দ টাওয়ারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। সেখানে রান্না ঘরের তাক থেকে একটি দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ হাদিসুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র আইনে হাদিসুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশলী পিপি মাহেব হোসেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর।
ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, “আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজাপ্রদান করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। আজ হাদিসুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর বলেন, “আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ