কোন প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির পুরো তথ্য যাচাই করতে দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেম তদারকি করতে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, ‘‘যাচাই সেবা গ্রহণকারীদের আর ঢালাওভাবে তথ্য দেবে না কমিশন। তথ্যের মিল থাকলে ‘হ্যাঁ’ আর না মিল না থাকলে ‘না’ জানিয়ে দেবে।’’

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা না রাখার ব্যাখ্যা দিলো পাকিস্তান

৫ কোটির ‘ভিআইপি টিকিট’ বিক্রি করে পিসিবি প্রধান বসবেন সাধারণ বক্সে

ইসির কাছ থেকে ব্যাংক, বীমাসহ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা গ্রহীতাদের তথ্য যাচাই করে নেয়। এক্ষেত্রে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পায় সংস্থাটি। তাই গত কয়েকদিন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিল ইসি।

এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘আগে ব্যক্তির নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এনআইডির তথ্যগুলো চলে যেত, এরপর তারা যাচাই করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য যাচাই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করে দেব। নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর ‘ম্যাচ’ অথবা ‘নো ম্যাচের’ মাধ্যমে তাদের এনআইডির তথ্য যাচাই করে দেব।’’

তিনি বলেন, ‘‘কেউ পাঁচটি তথ্য যাচাইয়ে আমাদের সিস্টেমে অনুরোধ পাঠাবে। এগুলোর মধ্যে আমরা কোনটি ভুল কোনটি সঠিক, তা বলে দেব। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যক্তির ছবি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যক্তির ছবিও দেখতে পাবেন। আমারা বলেছি এটা দেওয়া সম্ভব।’’

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘‘বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম এটি খুঁজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে আমরা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকেছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করে কীভাবে তথ্যগুলোকে আরো সুরক্ষিত রাখা যায়, এ নিয়ে আলোচনা করেছি।’’  

তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি টিম করে দেব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও থাকবেন। ওনারা যে কোনো সময়, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’’  

হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, ‘‘যারাই এনআইডি সিস্টেম ব্যবহার করবে অথবা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, ওই সব প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আমরা নেব। এমনকি ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং সিস্টেম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আমরা নেব। কোনো ভ্যান্ডর প্রতিষ্ঠান যেন দুর্বল সিস্টেম না চালায় এজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পরিষ্কার তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলে দেব কোন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিস্টেমে থাকতে হবে।’’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ঝুলে থাকা এনআইডি সংশোধন আবেদনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।’’  

তিন মাস পর আরও ভালো খবর দিতে পারবেন বলেও জানান হুমায়ুন কবীর।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য চ ই কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫

খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি-ভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্নিভ্যাল ২২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে থাকছেন দেশবরেণ্য প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তির বিভিন্ন খাত, ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কিং–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।

প্রযুক্তির দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ

পার্বত্য এলাকাগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এখনো অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সীমিত। তরুণদের আইটি খাতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। এডুলাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে সবার অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। এই অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি আইটি কমিউনিটির জন্য নতুন ও ভালো কিছু বয়ে আনবে। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতেও যে আইটিবিষয়ক চর্চা হয়, এটা পুরো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরায় এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।

স্পিকার হিসেবে কারা থাকছেন কার্নিভ্যালে

হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি। অতিথি হিসেবে থাকবেন শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রামার, সব ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা, তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক লেখকসহ ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং খাতের আরও অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে

গত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবার আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজনের ফলে তরুণদের আগ্রহ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রাক্‌-নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় আগ্রহীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

প্রযুক্তিনির্ভর পেশা গড়তে এবং সম্ভাবনাময় এই খাত সম্পর্কে জানার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। অংশগ্রহণকারী সবার জন্য থাকবে তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবসা কিংবা পেশা গড়ার নানা দিকনিদের্শনা ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার সুযোগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ
  • দরিদ্র নারীদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে: বিএনপিএস
  • খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫
  • অবশেষে করাচিতে উড়ল ভারতের পতাকা