সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির বৈঠক, যা ছিল আলোচ্য
Published: 17th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে পরামর্শ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরে বিসিবির পাঠানো বার্তায় ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিপিএলের আগামী আসর নিয়ে এরই মধ্যে বোর্ড কাজ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে সাবেক অধিনায়কদের ডাকা হয়েছিল। তারা সেখানে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।
বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, বৈঠকে বিপিএলের সূচি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিপিএলের নতুন একটা উইন্ডো বের করার বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। এ নিয়ে কাজও শুরু করেছে বিসিবি।
এবারের বিপিএল হয়েছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। এই সময় অনেকগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ হয়। এর মধ্যে এসএ টি-২০, বিগ ব্যাশ ও আইএল টি-২০ অন্যতম। যে কারণে বিপিএলের জন্য মানসম্মত বিদেশি পাওয়া যায় না। অনেকে বিপিএল খেলতে আসলেও চলে যান আইএল টি-২০তে।
জানা গেছে, আগামী আসর থেকে বিসিবি বিপিএলের উইন্ডো এগিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করেছে। আইসিসি ও অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবি নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিপিএলের জন্য ফাঁকা একটি সূচি চাইতে পারে।
বিসিবি সভাপতি এই বৈঠকে ১৫ জন অধিনায়ককে ডেকেছিলেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, লিটন দাস, মুমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, খালেদ মাহমুদ সুজন ও তামিম ইকবাল উপস্থিত হননি। বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ জুমে মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ ব প এল ব প এল র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লব পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল
জুলাই বিপ্লব পরিষদের আয়োজনে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা দেশের চলমান সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মত দেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আহসান উল্লাহ তুষার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যা ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব সাউদ মতিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এস এম শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য সাদিল আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রাম আরও বেগবান করতে তরুণদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান শাহনেওয়াজ ফাহাদ।
অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিলে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিশেষ দোয়া পর্বে তাদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।