বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী শাসনামলে ইসলাম সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে। ইসলামের অনুসারী ও প্রচারকদের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়েছে।

সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় মামুনুল হক বলেন, বিচারিক আদালতের মাধ্যমে ইসলামি নেতৃত্বকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এমন সব মামলা দেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল তাদের চরিত্র হনন করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমা পেলেও, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন না। এই জুলুমের বিচার একদিন হবেই।

তিনি আরও বলেন, অনেক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, অনেকে গুম হয়েছেন। গুমের রাজনীতি কতটা ভয়ঙ্কর, তা সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকাশ করেছে। আমরা আর সেই গুমের রাজ্যে ফিরে যেতে চাই না।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

জাহাঙ্গীর আলম, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, সুবক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক মজল স র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বালু লুট ও সালিশের নামে অন্যায় করতে দেওয়া হবে না: বাবুল

ফরিদপুরের সদরপুরবাসীদের উদ্দেশে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে কমিটমেন্ট করলাম, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকব। বালু লুট, সালিশের নামে টাকা হরিলুট, অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম করতে দেওয়া হবে না। আমি এখানে জোর করে আসি নাই, দলের সিদ্ধান্তে এসেছি।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা মাঠে কৃষক দলের আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।

বাবুল বলেন, সদরপুরের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশেই আমার বাড়ি। আমি রাজনীতি করি আটত্রিশ বছর ধরে। অনেক চড়াই উতরাই করে একটা গেরস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্রদল করে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।

তিনি বলেন, ১৩৮টি মামলা, রক্ত ঝরাইছি বার বার, কারাগারে গেছি বহুবার। আমি এইখানে বানরের নাচ খেলাইতে আসি নাই।  

সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। 

তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তে আমি (ফরিদপুর-৪)আপনাদের হাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে তুলে দিলাম। তিনি আপনার এলাকায় কাজ করবেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী বদরুজ্জামান বদু, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (কমিটি স্থগিত) তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ মৃধা, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ