গাইবান্ধায় বিএনপির সম্মেলনে ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন, গণনায় পাওয়া গেল ৪৮৫টি ভোট
Published: 17th, February 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মামলায় জামিন শমসের মুবিন চৌধুরীর, যেকোনো সময় মুক্তি পেতে পারেন
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী দুটি হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন। একটি হত্যা মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে, অন্যটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, দুটি মামলায় জামিন পাওয়ায় শমসের মুবিন চৌধুরী যেকোনো সময় কারামুক্ত হবেন।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মুবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।
সূত্রগুলো বলছে, শমসের মুবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন তাঁকে পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পল্টন থানায় দায়ের করা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গত ১৮ অক্টোবর শমসের মুবিন চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। সিএমএম আদালতের নাকচের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তিনি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। সেখানেও জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
সূত্রগুলো প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, শমসের মুবিন চৌধুরীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি শমসের মুবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেদিন তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নাকচ করেন। সিএমএম আদালতের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তিনি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। ১৮ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন আসামি শমসের মুবিন চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
সূত্রগুলো প্রথম আলোকে বলেছে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আদেশের পর শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিননামা জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শমসের মুবিন চৌধুরীর উচ্চ আদালতের জামিন আদেশের অনুলিপিও ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারিক শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পাবেন।
শমসের মুবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।