আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্ট আয়োজক ও পাকিস্তান ক্রিকেট (পিসিবি) বোর্ডের প্রধান হিসেবে এই ম্যাচে ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখার সুযোগ রয়েছে মোহসীন নাকভির।

কিন্তু তিনি ভিআইপি বক্সে বসে খেলা না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পরিবর্তে তিনি জেনারেল বক্সে বসে খেলা দেখবেন। আর তার জন্য বরাদ্ধকৃত ৪ লাখ ডলার তথা প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ভিআইপি বক্স অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে বলেছেন। যাতে করে আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের রেভিনিউ বাড়ে।

মূলত স্টেডিয়াম সংস্কারে অনেক টাকা খরচ করতেছে পাকিস্তান। এখন তারা এই টুর্নামেন্ট থেকে বাড়তি আয় করার দিকে মনোযোগী হচ্ছে। সবশেষ ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার হয়েছিল। এরপর আর বড় কোনো সংস্কার হয়নি। ২৯ বছর পর পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। খরচও হচ্ছে বেশ।

আরো পড়ুন:

শঙ্কা কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেন হারিস রউফ

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ আইপ

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর্মীর অধিকার ও স্বীকৃতির জন্য দৌড় কর্মসূচি

দেশের প্রায় ৪০ লাখের বেশি গৃহকর্মীর অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির জন্য দৌড়ে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২ হাজারের বেশি মানুষ।

আজ শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিলে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘অক্সফাম রান’-এর মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের জন্য ন্যায্যতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান অংশগ্রহণকারীরা। অক্সফামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায়, ‘সমতার লক্ষ্যে, চলো একসঙ্গে’ স্লোগানকে সামনে রেখে গৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি ও শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়। সাড়ে সাত কিলোমিটারের এই দৌড়ে প্রায় চার শতাধিক গৃহকর্মী অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, দূতাবাসের প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গণমাধ্যমকর্মীরাও অংশ নেন।

দৌড়ে পুরুষ বিভাগে প্রথম হন হামিদুর রহমান। আমিনুল হাসান দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন আবুল হাসনাত কবির। নারীদের মধ্যে সুইটি আক্তার প্রথম হয়েছেন। তামান্না আফরিন ও তাসলিমা আক্তার যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন।

‘অক্সফাম রান’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা শহরগুলোতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল থাকি আমাদের গৃহকর্মীদের ওপর। কিন্তু তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। ঘরে, সমাজে এবং সরকারি পর্যায়ে তাঁদের স্বীকৃতি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের অধিকার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায্যতার দেশ গড়তে পারব।’

বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘গৃহকর্মীদের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা তাঁদের আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাহলে তাঁদের মজুরি, দক্ষতা ও অন্য সুবিধাগুলোর অধিকার স্বীকৃতি পাবে।’

অক্সফাম রানের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের জন্য অক্সফাম ২০১৫ সালের গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতির সঠিক বাস্তবায়ন, গৃহকর্মীদের জন্য সম্মানজনক কাজের আইএলও কনভেনশন ১৮৯–এর অনুমোদন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশক্তি রক্ষার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিশ্চিতের বিষয়গুলো উঠে আসে।

অক্সফাম ইন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা বলেন, অক্সফাম দীর্ঘদিন ধরে গৃহশ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। লক্ষণীয় হলো, তাদের অধিকার রক্ষায় কেবল নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, মানসিকতার পরিবর্তন হতে হবে।

২০২২ সালে অক্সফামের এক গবেষণায় উঠে আসে, ৯৩ শতাংশ গৃহশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন, যার মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতন, ৬১ শতাংশ মৌখিক এবং ২১ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।

দেশের গৃহকর্মীদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ২০২০ সালে সুনীতি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ১৮ হাজার নারী গৃহকর্মীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্পটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ