দল ঘোষণার আগেই আসতে পারে বৈষম্যবিরোধীদের ছাত্রসংগঠন
Published: 17th, February 2025 GMT
অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার আগেই নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের লক্ষ্য রেখে যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ চলছে বলে দলটির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন। নতুন ছাত্রসংগঠনের পক্ষে জনমত গঠনে আগামীকাল মঙ্গলবার এবং বুধবার দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তি থেকে নতুন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আবদুল কাদের, রিফাত রশীদ, হাসিব আল ইসলাম, তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, জাহিদ আহসান প্রমুখ। এতে তারা দল গঠনের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। তবে দলের নাম ও কবে নাগাদ আত্মপ্রকাশ হতে পারে সেটি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
ছাত্রসংগঠনে যোগদানকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে আসবেন। প্রাথমিকভাবে নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। নতুন এই সংগঠনের স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
জানা গেছে, দুইটি কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে থাকবেন আবু বাকের মজুমদার এবং আবদুল কাদের। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আবু বাকের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র আর আবদুল কাদের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজয় একাত্তর হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এ ছাড়া সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসান, তাহমিদ আল মুদাসসির, হাসিব আল ইসলামকেও শীর্ষ নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে।
নারীদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি, নিশিতা জামান নিহা, রওনক জাহান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য সিনথিয়া জাহিন আয়েশা প্রথম সারিতে স্থান পেতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বাকের মজুমদার বলেন, ছাত্রসংগঠন গঠনের উদ্দেশ্যে তারা আগামীকাল মঙ্গলবার এবং বুধবার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে এবং অফলাইনে জনমত জরিপ চালাবেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল এলাকা, মোকাররম ভবন এলাকা, কলাভবন, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ এলাকা, কাজী মোতাহার ভবন এলাকায় এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শহরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নতুন এই ছাত্রসংগঠন স্বতন্ত্রভাবে স্বাধীনভাবে রাজনীতি পরিচালনা করবে বলে জানান আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রসংগঠন লেজুড়বৃত্তিক হবে না। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের সংগঠনের নেতৃত্ব প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘বটম টু টপ’ থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সংগঠনের আর্থিক বিষয় অভ্যন্তরীণ চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
আবদুল কাদের বলেন, আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম ছাত্র সংগঠনসহ একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সবাই তাদের নিজস্ব সংগঠনে ফিরে গেছেন। কিন্তু এর বাইরে একটা বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসেছিল, যারা কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাদের তো এখন কোনো যাওয়ার জায়গা নেই। সেই দিকটা বিবেচনা করেই আমরা একটা ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাজন হয়নি বা এখানে অনুমতি নেওয়ার তেমন কিছু নেই।
রশিদুল ইসলাম রিফাত ওরফে রিফাত রশীদ বলেন, আমাদের এই ছাত্রসংগঠন একটি আলাদা উদ্যোগ। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্দিষ্ট অরগানোগ্রাম আছে। সেখানে আহ্বায়ক, সদস্য সচিবরা তাদের মতো করে পরিচালনা করবেন। এটি একটি স্বতন্ত্র উদ্যোগ; নিজস্ব গঠনতন্ত্র এবং পলিসি অনুযায়ী এটি বাস্তবায়িত হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবদ ল ক দ র র স গঠন স গঠন র পর চ ল র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আমি শাকিব খানকে চিনি না: লাবণী সরকার
ঢালিউড কিং শাকিব খানকে চিনেন না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী লাবণী সরকার। তার এ বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এ নিয়ে শাকিব খানের ভক্ত-অনুরাগীরা ষোলআনাই নাখোশ। অনেকে আক্রমণ করেও মন্তব্য করেছেন; যা অন্তর্জালে ভেসে বেড়াচ্ছে।
বাষট্টি বছরের লাবণী হঠাৎ এমন মন্তব্য কেন করলেন? মূলত, একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এ আলাপচারিতায় ওপার বাংলার সুপারস্টারদের নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। কথা বলার ফাঁকে জানতে চাওয়া হয়, আপনি তো বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। এ বিষয়টিও পরিষ্কার হওয়া ভালো।
এরপরই লাবণী সরকার বলেন, “শাকিব খান কে, আমি জানি-ই না। শাকিব খানকে ভালো করে চিনিই না। তার কোনো সিনেমাও দেখিনি। শাকিব খানকে নিয়ে আমি কী বলব! শাকিব খানের একটা গোটা সিনেমা দেখিনি। তার সঙ্গে জীবনে কোনো সিনেমাও করিনি। তাকে নিয়ে কী বলতে পারি? এগুলো মানুষের মনগড়া কথা।”
আরো পড়ুন:
শাকিবের জন্য এলাহি আয়োজন
টিকিট না পাওয়ায় আমার পরিবারও ‘বরবাদ’ দেখতে পারেনি: শাকিব
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আঙুল তুলে লাবণী সরকার বলেন, “আমি ফেসবুকে থাকি না, কী মন্তব্য করা হয় তাও জানি না। শুনেছি, এখন নাকি কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অনেক টাকা আয়-রোজগার করে। এসব খবর ওদের বানানো।”
লাবণী সরকারের দাবি, তার বক্তব্য বিকৃত করে অনেকবার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তার ভাষায়, “এখন যে যার মতো রিল বানাচ্ছে, বাইট নিচ্ছে, আমাদের পুরো বক্তব্য প্রচারে আসে না। আমার কত বক্তব্য বিকৃত করে খবর করা হয়েছে। ঘরে ঘরে ইউটিউবার, সবাই বাইট নিচ্ছে। অলীক জগতে থাকা মানুষরা, যা খুশি করছেন তো কী হবে!”
তবে এর আগে শাকিব খানকে নিয়ে ঠিক কী বলেছিলেন লাবণী সরকার, তা অবশ্য জানা যায়নি।
ঢাকা/শান্ত