যশোর, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার এসপিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার পুলিশের এক বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুক হক সাগর বলেন, প্রত্যাহার হওয়া ৪ জেলার এসপিকে মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে...
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার চান জাবি শিক্ষার্থীরা
সারাদেশে ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা৷
রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব তালুকদারের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূঁইয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার এবং ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাংশন করানো ও অপরাধ দমনে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যায় বিচার যাতে নিশ্চিত হয়, প্রতিটি মানুষ যাতে তার অধিকার নিশ্চিতের আন্দোলন করতে পারে রাস্তা-ঘাটে নির্বিঘ্নে চলতে পারে সেটি এই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট হারাবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তাকে আমরা ক্ষমতা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাবো। আমরা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে আন্দোলন করিনি। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছি আমাদের যে ন্যায়বিচার, আমাদের যে নিরাপত্তা শেখ হাসিনা আমলে ঘাটতি ছিল সেটি যেন পূরণ হয়। এর জন্য অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেক আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দেশের যে চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ রাখতে হবে এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।