অসুস্থ হয়ে চায়ের দোকানে লুটিয়ে পড়েন অভিনেতা সানী
Published: 17th, February 2025 GMT
আজ ভোররাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী। এত কম বয়সে তার চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারছেন। সানীর মৃত্যুর খবরে বিস্মিত অভিনেতা অপূর্ব থেকে শুরু করে সহকর্মী-নির্মাতারা।
গতকাল দিবাগত রাতে সানীর ঠিক কী হয়েছিল? এ প্রশ্ন যেমন তার সহকর্মীদের তেমনি ভক্ত-অনুরাগীরাও জানতে উদগ্রীব।
নাট্যনির্মাতা ইমরাউল রাফাত জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। দ্রুত তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
সেই নির্মাতাকে বিয়ে করছেন মেহজাবীন চৌধুরী!
তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সানীকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই রাত সাড়ে তিনটায় মারা যান সানী। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, হার্ট অ্যাটাকে সানীর মৃত্যু হয়েছে।
ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘কাছে আসার পর’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন শাহবাজ সানী। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ইমরাউল রাফাত। তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, “বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সানী। আমি রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছাই। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সানীকে ফেরানো গেল না।”
শাহবাজ সানীর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফটোসাংবাদিক এম সাদেক পেশাদারত্বের সঙ্গে কখনো আপস করেননি
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রথম আলোতে কর্মরত সদ্য প্রয়াত কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক এম সাদেকের স্মরণসভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, গণমাধ্যমে পথচলার শুরু থেকেই এম সাদেক পেশাদারত্বের কাজ করে গেছেন। তিনি পেশাদারত্বের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। চাইলেই অপসাংবাদিকতায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু এম সাদেক পেশাদারত্বের বাইরে কখনোই নিজেকে বিলিয়ে দেননি। তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও সংকট থেকেই বোঝা যায়, পেশাগত জীবনে তিনি কতটা সৎ ছিলেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন নগরের কান্দিরপাড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, খায়রুল আহসান, গোলাম কিবরিয়া, শহিদুল্লাহ, দিলীপ মজুমদার, বাহার রায়হান, ওমর ফারুকী, এম ফিরোজ মিয়া, তাওহীদ হোসেন, আতিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রথম আলোর পক্ষে বক্তব্য দেন কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান ও কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা। প্রয়াত এম সাদেকের পরিবারের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই জামাল হোসেন ও একমাত্র সন্তান কাউসার আহমেদ স্মরণসভায় কথা বলেন। সহকর্মীদের অনেকে ও পরিবারের সদস্যরা এম সাদেকের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এম সাদেক কুমিল্লার ফটোসাংবাদিকতায় অনন্য ছিলেন উল্লেখ করে সহকর্মীরা বলেন, এম সাদেকের তোলা ছবিগুলো কুমিল্লার প্রতিচ্ছবি ছিল। তিনি পারিবারিক জীবন অনেক কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার করেছেন। কিন্তু কখনোই নিজের পেশাকে কলুষিত করেননি তিনি। তিনি শুধু ভালো ছবিই তুলতেন না, তিনি একজন ভালো মানুষও ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, এম সাদেকের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে। এ ছাড়া তাঁর কাজগুলো নিয়ে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
গত সোমবার বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে কুমিল্লা নগরের বেসরকারি একটি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ফটোসাংবাদিক এম সাদেক। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কুমিল্লা শহরতলির গোমতী নদীর পাড়ে চানপুর এলাকায় এম সাদেক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এম সাদেকের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। নগরীর অশোকতলা এলাকার বাসিন্দা এম সাদেক এক ছেলে, স্ত্রী, পুত্রবধূ, নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী-শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুনপ্রথম আলোর কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক এম সাদেক আর নেই১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫