আজ ভোররাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী। এত কম বয়সে তার চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারছেন। সানীর মৃত্যুর খবরে বিস্মিত অভিনেতা অপূর্ব থেকে শুরু করে সহকর্মী-নির্মাতারা।

গতকাল দিবাগত রাতে সানীর ঠিক কী হয়েছিল? এ প্রশ্ন যেমন তার সহকর্মীদের তেমনি ভক্ত-অনুরাগীরাও জানতে উদগ্রীব।

নাট্যনির্মাতা ইমরাউল রাফাত জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। দ্রুত তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

সেই নির্মাতাকে বিয়ে করছেন মেহজাবীন চৌধুরী!

তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন

সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সানীকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই রাত সাড়ে তিনটায় মারা যান সানী। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, হার্ট অ্যাটাকে সানীর মৃত্যু হয়েছে।

ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘কাছে আসার পর’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন শাহবাজ সানী। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ইমরাউল রাফাত। তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, “বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সানী। আমি রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছাই। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সানীকে ফেরানো গেল না।”

শাহবাজ সানীর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

গানে-ছন্দে বর্ষবরণে মেতেছিলেন প্রথম আলোর কর্মীরা

‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও/ আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও’, ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান/ মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম’—এমন সব গানে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রথম আলোর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার আনন্দমুখর পরিবেশে প্রথম আলোর কর্মীদের নিয়ে উদ্‌যাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

মানবসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে বৈশাখের দ্বিতীয় দিন বিকেলে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানটি। এতে প্রথম আলোর বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা কাজের ফাঁকে গান-আবৃত্তি, রম্য কথনে মেতেছিলেন। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আসা প্রথম আলোর কর্মীদের মধ্য থেকে সেরা সাজের জন্য চারজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানস্থল প্রগতি ভবনের সাততলা সাজানো হয়েছিল নববর্ষের মোটিফ আর লোকজ নকশার রঙিন কাগজে। প্রথম আলো ট্রাস্টের মাহবুবা সুলতানার কণ্ঠে ‘আলোকের এই ঝর্নাধারা’ গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভিডিও বিভাগের খন্দকার শামসউজজোহা নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন। উন্মুক্ত পর্বে গান ও রম্য কথনে অংশ নেন তিন সহকর্মী।

সম্পাদনা সহকারী বিভাগের রাশিদুজ্জামান দুটি গান পরিবেশন করেন। পুরুষেরা পাঞ্জাবি-ফতুয়া, নারীরা শাড়ি, মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়িতে সেজেছিলেন। সেরা সাজের জন্য ‘সুবেশী’ হিসেবে পুরস্কার জেতেন দুজন নারী ও দুজন পুরুষ সহকর্মী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রথম আলোর কর্মীদের বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান অভিনেতা আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, চলচ্চিত্র পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী, চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু।

অনুষ্ঠানে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক ও সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন কর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তপতী বর্মণ।

খৈ, মুড়ি, বাতাসা, চিড়া-মুড়ির মোয়া, মুড়ালি, চানাচুর মাখা, কাঁচা আমের শরবতের মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দর্শনা চেকপোস্টে নিজ ঘরে ঝুলছিল পুলিশ সদস্যের মরদেহ
  • গানে-ছন্দে বর্ষবরণে মেতেছিলেন প্রথম আলোর কর্মীরা