টিভি নাটকের তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উত্তরার ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জানা যায়, রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। মারা যাওয়ার ১০ মিনিট আগে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এই তরুণ অভিনেতা। গেল কয়েকদিন ধরে বুক ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। 

সানীর কাছের মানুষদের একজন নির্মাতা মাসরিকুল আলম। মৃত্যুর সময় সানীর পাশেই ছিলেন এই নির্মাতা। গণমাধ্যমকে সানী শেষ সময়ের কথা মাসরিকুল জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমি যখন গেলাম তখনও সানী ভাইয়ের একটু জ্ঞান আছে। বুকে ব্যথা, চিৎকার করছেন। ডাক্তার বললেন, এখানে রাখা ঠিক হবে না; সিসিইউ আছে—এমন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভালো হয়। আমরা সাথে সাথেই অ্যাম্বুলেন্স কল দিলাম। অ্যাম্বুলেন্স যখন আসছে, তখন এমন একটা অবস্থা যে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন ডাক্তার বলেন যে আসলে এখন আর নেওয়ার মতো অবস্থায় নাই। তারপর আমরা ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালেই সব রকমের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আর বাঁচানো গেল না।’

মাসরিকুল আরও বলেন, ‘দুই দিন আগে সানী ভাইয়ের সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, তখন তিনি বলছিলেন যে তার বুকে ব্যথা, কাশি রয়েছে। আমি বললাম, ভাই আপনি একটু ডাক্তার দেখান। পরদিন আবার কথা হলে বললেন, সম্ভবত গ্যাস্ট্রিক থেকে এমনটা হচ্ছিল; ওষুধ খাচ্ছি, এখন সুস্থ। আমি ধারণা করছি, ওই জ্বালাপোড়াটা আসলে উনার মাইনর হার্ট অ্যাটাক থেকে হয়েছিল, কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি।’

চট্টগ্রামের তীর্যক নাট্যদলের মাধ্যমে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল শাহবাজ সানীর। তারপর নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটকের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন তিনি। ২০১৮ সালে গোলাম কিবরিয়া ফারকীর পরিচালনায় ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে প্রথমবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘চরের মাস্টার’, ‘বিফলে মূল্য ফেরত’, ‘ট্রাভেল শো’, ‘মহব্বত’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বালু লুট ও সালিশের নামে অন্যায় করতে দেওয়া হবে না: বাবুল

ফরিদপুরের সদরপুরবাসীদের উদ্দেশে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে কমিটমেন্ট করলাম, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকব। বালু লুট, সালিশের নামে টাকা হরিলুট, অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম করতে দেওয়া হবে না। আমি এখানে জোর করে আসি নাই, দলের সিদ্ধান্তে এসেছি।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা মাঠে কৃষক দলের আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।

বাবুল বলেন, সদরপুরের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশেই আমার বাড়ি। আমি রাজনীতি করি আটত্রিশ বছর ধরে। অনেক চড়াই উতরাই করে একটা গেরস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্রদল করে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।

তিনি বলেন, ১৩৮টি মামলা, রক্ত ঝরাইছি বার বার, কারাগারে গেছি বহুবার। আমি এইখানে বানরের নাচ খেলাইতে আসি নাই।  

সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। 

তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তে আমি (ফরিদপুর-৪)আপনাদের হাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে তুলে দিলাম। তিনি আপনার এলাকায় কাজ করবেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী বদরুজ্জামান বদু, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (কমিটি স্থগিত) তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ মৃধা, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ