দ্রুততম মানব ইসমাইল, মানবী শিরিন
Published: 17th, February 2025 GMT
গত চারবারের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান এবার ছিলেন না। তাঁর শূন্যস্থানটা কে পূরণ করবেন, এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয় এবারের জাতীয় অ্যাথলেটিকস। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোহাম্মদ ইসমাইল দ্রুততম মানব হয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন।
আজ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস শুরু হয়েছে। পুরুষ ও নারী, দুই বিভাগেই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট হয়েছে আজ। সেখানে ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম হয়েছেন ইসমাইল। আর সেরা হতে তিনি ইলেকট্রনিক বোর্ডে সময় নিয়েছেন ১০.
এ নিয়ে পঞ্চমবার পুরুষদের ১০০ মিটারে স্প্রিন্টে প্রথম হলেন ইসমাইল। ২০২১ সালের পর প্রথমবার দ্রুততম মানব হওয়া ইসমাইল বললেন টানা পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন, ‘আমি এই প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানব হওয়ার জন্য টানা সাত মাস অনুশীলন করেছি। এটা আমার জন্য সহজ ছিল না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তবে নৌবাহিনী থেকে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।’
আজ সুমাইয়া দেওয়ানকে হারিয়ে দ্রুততম মানবীর মুকুট ধরে রেখেছেন শিরিন আক্তার। এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ১৬ বার ১০০ মিটার জিতলেন শিরিন। আজ নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট সময় নিয়েছেন ১২.০১ সেকেন্ড। দ্বিতীয় হওয়া সুমাইয়া ইলেকট্রনিক বোর্ডে সময় নেন ১২.১৫ সেকেন্ড।
টানা ১৬ বার ১০০ মিটারে প্রথম হয়ে রোমাঞ্চিত শিরিন বললেন এই প্রাপ্তি সহজেই মেলেনি, ‘আবার দ্রুততম মানবী হতে পেরে ভালো লাগছে। এটা আসলে সহজ ছিল। যাঁরা আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁরাও খুব ভালো স্প্রিন্টার। আমার কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি স্যার সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন।’
তবে দেশের মাটিতে নিয়মিত সাফল্য জেতা শিরিনের একটা স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি! সেটা হলো লাল–সবুজের জার্সিতে এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতা। আজ গণমাধ্যমকে যেমনটা বলেছেন তিনি, ‘আক্ষেপ বলে কিছু নেই। তবে এসএ গেমসে দেশকে একটি স্বর্ণপদক উপহার দিতে চাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ১০০ ম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।