বয়স ৯১, তবে এই বয়সে এসেও একাই নিজের সুরেলা কণ্ঠে মঞ্চ জমিয়ে দিতে পারেন আশা ভোসলে। সম্প্রতি ‘কাপল অব থিংস উইথ আরজে আনমোল অ্যান্ড অমৃতা রাও’-এর পডকাস্টে এসে সুরকার স্বামী আর ডি বর্মনকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন আশা।
আর ডি বর্মনের বিনয়ী স্বভাবের কথা মনে করে আশা ভোসলে বলেন, ‘তাঁর আইকনিক মর্যাদা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে কখনো বিশাল কিছু মনে করতে না। উনি জানতেনও না যে উনি কত বড় সংগীত পরিচালক। যে ধরনের সংগীত তৈরি করেছেন, তা নিয়ে কোনো অহংকার ছিল না। মানুষ টাকার জন্য পাগল, তবে আমি যদি তাঁকে একটা হিরেও দিই, তো উনি বলতেন, “এটি কী? এটা কি পাথর! পরিবর্তে এর চেয়ে একটা ভালো গান রেকর্ড করো।” গান রেকর্ড করা ওঁর কাছে হিরের চেয়েও মূল্যবান ছিল।’

আশা তাঁদের ডাকনাম সম্পর্কেও কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আগে আমি তাঁকে পঞ্চম বলে ডাকতাম। তারপর আমি একটা গান গেয়েছিলাম, “বাবুয়া”। এর পর থেকে তিনি আমাকে ওই নামেই ডাকতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আরও ছোট হয়ে বাব হয়ে গিয়েছিল। তবে লোকজনের সামনে উনি আমাকে আমার নাম ধরেই ডাকতেন।’

মঞ্চে গান গাওয়ার সময় মানসিক চাপের কথাও সামনে এনেছেন আশা। তাঁর কথায়, ‘স্টুডিওতে একজন সংগীত পরিচালক উপস্থিত থাকলে সবকিছু সহজে হয়ে যায়। তবে মঞ্চে তিনি থাকেন না। মঞ্চে আবেগ পুরো বিষয়টা দখল করে রাখে। গলা আটকে যায়, কণ্ঠস্বর কাঁপে। স্মৃতিগুলো ভেসে আসে—সেই রাতগুলো, সেই চিঠিগুলো, বালিশের কাছে রাখা সেই গোলাপগুলো। শ্রোতারাও তাদের নিজস্ব অতীতকে পুনরুজ্জীবিত করে তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।’

ভোসলে তাঁর সবচেয়ে বড় ইচ্ছার কথাও সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। জোর দিয়ে বলেন যে তাঁর এখন একমাত্র ইচ্ছা হলো শেষনিশ্বাস পর্যন্ত গান গাওয়া।

আরও পড়ুনকলকাতায় জ্যোতিষীর কাছে আশা ভোঁসলে২৮ জানুয়ারি ২০১৬

তাঁর কথায়, ‘একজন মায়ের ইচ্ছা কী? তাঁর সন্তানেরা ভালো থাকুক? একজন ঠাকুমার ইচ্ছা? তাঁর নাতি-নাতনিরা সুখে থাকুক। এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা হলো, আমি যেন গান গাইতে গাইতেই মারা যাই। আমার শেখার মতো আর কিছুই বাকি নেই। আমি আমার পুরো জীবন গেয়েছি। আমি মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত শেখা শুরু করি। প্লেব্যাক করছি ৮২ বছর হয়ে গেছে। অর এখন ইচ্ছা হলো, আমি গাইতে গাইতে মরতে চাই। এটাই আমাকে সবচেয়ে সুখী করবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই, ‘গণপিটুনিতে’ নিহত ১

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চালককে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে জহির (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার তন্তর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহমেদ জানান, আজ ভোরে তন্তর এলাকায়ে মহসিন মিয়ার (৪২) অটোরিকশায় যাত্রীবেসে ওঠেন চারজন। মাঝপথে মহাসিন মিয়ার গলায় ছুরি চালিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যান একজন। এ সময় অটোরিকশা চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাকি তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

আরো পড়ুন:

ভিক্ষুককে ‌যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গণধোলাই

কিশোরগঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠতে নিষেধ করায় চালককে মারধর

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অটোরিকশা চালকসহ তিন অভিযুক্তকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত জহির মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
  • সব হারানো শিশুদের রঙিন ঈদ
  • ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান
  • যেভাবে চাঁদ দেখা হয়, ঘোষণা করা হয় ঈদের তারিখ
  • গাজীপুরে বাস-অটোরিশার সংঘর্ষে একজন নিহত
  • একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতি সবার : সারজিস
  • গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১
  • শ্রীনগরে অটোরিকশা ‘ছিনতাই চক্রের’ তিন সদস্যকে স্থানীয়দের পিটুনি, একজনের মৃত্যু
  • মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই, ‘গণপিটুনিতে’ নিহত ১