কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল এলাকার ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শাকিব। বাবা আকবর মন্ডল বাড়ির পাশের পান বরজে কাজ করছিল। বাড়ি থেকে বাবার দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল শাকিব। পথিমধ্যে ইটবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে শাকিব প্রাণ হারায়।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল ইট ভাটার সন্নিকটে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর শাকিব ওই এলাকার আকবর মন্ডলের ছেলে এবং সলিমপুর মডেল স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাড়ি থেকে মাঠে বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল শাকিব। পথিমধ্যে কৈপাল ইটভাটা থেকে ইট নিয়ে যাওয়ার সময় স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি তাকে চাপা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সামসুল আরেফিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শাকিব মারা যায়।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন দ লতপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।

তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সড়কের গাছ কাটলেন বিএনপির দুই নেতা
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলল রবীন্দ্রনাথ নজরুল লালনের
  • ফেনীতে বাজারের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
  • মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ