প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৯ ওভারেই অলআউট বাংলাদেশ
Published: 17th, February 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনস বা পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রান করে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
রান পাননি টপ অর্ডারের তানজিদ তামিম ও নাজমুল শান্ত। ওপেনার সৌম্য সরকার ও চারে ব্যাট করতে নামা মেহেদী মিরাজ সেট হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের ওসামা মীর ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। তানজিদ তামিম ৬ রান করে ফিরে যান। দলের রান ৫০ হলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। তিনি সময় নিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। ২১ বলে করেন ১২ রান।
ওপেনার সৌম্য পরেই সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৩৫ করে রান আউট হন। ৫৩ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মিরাজ। তিনটি চারের শট খেলেন। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। তার আগে ফিরে যাওয়া তাওহীদ হৃদয় ৩৩ বলে ২০ রান করেন। মুশফিকুর রহিম ৭ রান করে ফিরে যান।
পরে জাকের আলী (৪) ও রিশাদ হোসেন (১৪) ব্যর্থ হলে দুইশ’ রানের আগে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল। তানজিম সাকিব ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে দলের রান দুইশ’র ওপরে নেন। এছাড়া নাসুম খেলেন ১৫ রানের ইনিংস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
২২ রান তুলতে শেষ ৭ উইকেট, পাকিস্তানের নাটকীয় হার
‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান আবারও সেই পরিচিত রূপে! জয়ের পথে থেকেও হঠাৎ পথ হারানোর ঘটনা তাদের ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ঘটল সেই চেনা কাহিনি। শেষ ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রানের ব্যবধানে হেরে গেল পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ২৪৯ রান করে ফেলে। শেষ ৬৯ বলে ৭ উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজন ছিল ৯৬ রান। তবে সেখান থেকেই ধসে পড়ে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ২৭১ রানে।
টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান, কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। মার্ক চাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল গড়েন ১৯৯ রানের রেকর্ড জুটি, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ।
মিচেল ৮৪ বলে ৭৬ রান করে ফিরলেও চাপম্যান ছিলেন দুর্দান্ত। ১৩২ রানের ইনিংসে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে অভিষিক্ত মুহাম্মদ আব্বাস মাত্র ২৬ বলে ৫২ রানের ক্যামিও খেললে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় কিউইরা।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ইরফান খান ৩ উইকেট নিলেও ৫ ওভারে দেন ৫১ রান। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাভেদ ও হারিস রউফ। এদিন অতিরিক্ত থেকেই পাকিস্তান দেয় ৪৩ রান, যা আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৩৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন উসমান খান ও আবদুল্লাহ শফিক। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৩ রান। তবে ৮৮ রানের মধ্যেই দুজনই ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে দল। এরপর বাবর আজম ও অধিনায়ক রিজওয়ান মিলে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। ১৬৪ রানে রিজওয়ান আউট হলেও পাকিস্তানের জয়ের পথে বড় ধাক্কা ছিল না। বাবরের সঙ্গে ৫৯ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সালমান আলী আগা।
কিন্তু ২৪৯ রানে বাবর আউট হওয়ার পরই নামে পাকিস্তানের ইনিংসে ধস। শেষ ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানে অলআউট হয় তারা। শেষ ৬ ব্যাটারের মধ্যে তিনজন শূন্য এবং তিনজন মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
পাকিস্তান তাই জেতার মতো পরিস্থিতিতে থেকেও ম্যাচ হেরে গেল ৭৩ রানের ব্যবধানে। এই হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল তারা।