রাজধানীর মিরপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত
Published: 17th, February 2025 GMT
রাজধানী মিরপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর ২ নম্বর সনি সিনেমা হল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম নাহিদ কামাল (৩০)। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তাঁর বন্ধু কাজী ফেরদৌস (৩১)।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক বন্ধুসহ মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ২ থেকে মিরপুর ১-এ যাচ্ছিলেন নাহিদ। এ সময় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাত একটার দিকে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে মারা যান তিনি।
মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
পারিবারিক সূত্র জানায়, নাহিদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার মুন্সিনগর গ্রামে। তিনি মিরপুরের দারুসসালামের লালকুঠি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
গাড়িচাপায় নারী নিহত
আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর মগবাজার এলাকার ইনসাফ হাসপাতালের পাশে উড়ালসড়কের ওপর অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান ভোর সাড়ে পাঁচটায় অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করেন। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি করতেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
এসপি’র পর কক্সবাজারে ডিবির ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ইয়াবা কাণ্ডে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহর পর এবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, পৃথক দুটি আদেশে এই সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ইয়াবা কাণ্ডের ঘটনায় ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।”
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, ওসি জাহাঙ্গীর আলম, এসআই সমীর গুহ, কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রানা, কনস্টেবল সাইফুল হাসান, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম খান, কনস্টেবল মোহাম্মদ ইরফান ও কনস্টেবল (ড্রাইভার) রিয়াজ উদ্দিন।
এর আগে, একই ঘটনায় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে, ইয়াবা কাণ্ডের তদন্তে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মিলেমিশে সাড়ে ৩ লাখ পিস বিক্রি: এসপির ইয়াবা কারবার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ৬ জানুয়ারি ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো জব্দ করা হয়। অভিযানে ওসি জাহাঙ্গীর আলম ও এসআই সমীর গুহের নেতৃত্বে একটি দল চারজনকে আটক করে। তবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিন ইয়াবা কারবারিকে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় ৩৫ কাট (৩ লাখ ৫০ হাজার পিস) ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল, যার মধ্যে পুলিশ আত্মসাৎ করে ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস; যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অভিযানে সহযোগী হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চাকরিচ্যুত দুই কনস্টেবলকে ১৩ কাট (১ লাখ ৩০ হাজার পিস) ইয়াবা দেওয়া হয়। এসপির অনুমতি পাওয়ার পর ডিবি ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ৯৫ টাকা পিস দরে মোট ২ কোটি ৯ লাখ টাকায় বিক্রি করে।
এই ঘটনা গোপন রাখতে চকরিয়া থানার ডুলাহাজারায় মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ দেখানো হয়। ইয়াবা বহনকারী গাড়ির চালক ইসমাইলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করা হয়, যেখানে বাদী ছিলেন এসআই সমীর গুহ। তবে জব্দকৃত গাড়িটি থানায় না রেখে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় খবর প্রকাশের পর পুলিশের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় এবং একের পর এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ সুপারের পর এবার ডিবির ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/টিপু