বন্ধু হলে তিস্তার পানি ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, ভারতকে মির্জা ফখরুল ইসলাম
Published: 17th, February 2025 GMT
ভারতকে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে দাদাগিরি করা চলবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমে তিস্তার পানি দিতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। তাহলে বন্ধুত্ব হতে পারে।
আজ সোমবার লালমনিরহাটে তিস্তা সেতু সংলগ্ন নদীপাড়ে জনতার মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদিকে তারা (ভারত) পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে আশ্রয় দেয়। দিল্লিতে তাকে (শেখ হাসিনা) রাজার হালে রেখেছে। ওখান থেকে বসে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছেন।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় এল তখন সবাই ভাবল ভারতের বন্ধু এবার মনে হয় পানি আনতে পারবে। ১৫ বছরে তারা তিস্তার এক ফোঁটা পানিও আনতে পারিনি। ৫৪টি অভিন্ন নদীর উজানে ভারত বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি উত্তোলন করেছে। তারা ভারতের কাছে দেশ বেচে দিয়েছিল।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে।’
তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, আজ রাতে লালন সঙ্গীত পরিবেশিত হবে। রংপুর বিভাগের ১১টি পয়েন্টে রাতে মশাল প্রজ্বলন করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ কর্মসূচি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে যুবক নিহত
বরিশালের উজিরপুরে যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে সিয়াম মোল্লা (২২) নামক এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব মোল্লা নামে এক কিশোর বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহত দু’জন সম্পর্কে মামাতো ভাই।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বাহেরঘাটে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম উজিরপুরের গড়িয়া গ্রামের রিপন মোল্লার ছেলে। গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকিয়া রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পথে সিয়াম মারা যান। তাঁর বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আহত আরেক যুবককে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার লোকজন মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যার পর যৌথ বাহিনী ফের অভিযানে গেলে মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়ে। তখন আত্মরক্ষায় গুলি করলে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।
সিয়ামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল চালক হাসান মৃধা জানান, একটি ইজিবাইক থেকে গুলিবিদ্ধ সিয়ামকে তাঁর মোটরসাইকেলে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার ওসিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। আগৈলঝাড়া থানার ওসি জানান, ঘটনাস্থলে র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গেছে। দু’জন মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।