বগুড়ায় বিদ্যালয়ছাত্র ফাহিম হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 17th, February 2025 GMT
বগুড়ায় বিদ্যালয়ছাত্র মো. ফাহিম (১৮) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাতমাথায় মানববন্ধন করে ফয়জুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চকফরিদ এলাকাবাসী।
মানববন্ধন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
নিহত মো.
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার বনানী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফজলে এলাহী বলেন, ফাহিম হত্যা মামলায় মো. রাব্বী (১৯) নামের গ্রেপ্তার এক আসামি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিরা আত্মগোপনে আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার মো. রাব্বী সোনাতলা উপজেলার হরিখালি ইউনিয়নের সাতগ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। রাব্বী পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তিনি মা-বাবার সঙ্গে শহরের চকফরিদ কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দিতে রাব্বী বলেছেন, ফাহিমকে হত্যার জন্য তাঁর সহপাঠী তরিকুল ইসলাম তাঁদের (রাব্বী ও অন্য আসামিরা) ভাড়া করেন। তরিকুলের কাছ থেকে ৫০০ টাকা কেড়ে নেওয়ার জেরে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফাহিমের বাবা ফরহাদ হোসেন বগুড়া সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে রাব্বীর নামও উল্লেখ করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন লতিফপুর কলোনি এলাকার মো. সীমান্ত (২১), একই এলাকার তরিকুল ইসলাম (১৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাগ্রামের জাকির হোসেন (২০) এবং বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামের শ্রাবণ (১৯)। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চারজনকে।
আরও পড়ুনবগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র খুন১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনবগুড়ায় স্কুলছাত্র ফাহিম হত্যার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতির ‘র’-ও বোঝে না: ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো রাজনীতির ‘র’-ও বোঝে না। রাজনীতি নিয়ে অনেক সময় সচেতন থাকতেও চায় না। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের কাজই হলো, সাধারণ শিক্ষার্থীরা একেবারেই রাজনীতিবিমুখ হলে একটা দেশ গণতান্ত্রিক পন্থায় চলতে পারে না, তাই আমরা তাদের সোচ্চার করবো। আমরা লিফলেট বিতরণ করবো, আড্ডা, গানে তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হবো।
সোমবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এসময় তিনি এ সব কথা বলেন।
মানববন্ধনে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ছাত্রদল বাংলা সিনেমার শাবানা না যে, আড়াই ঘণ্টার একটা সিনেমায় শাবানা কষ্ট করে, দুঃখ করে। কিন্তু যখন শাবানার ভালো সময় আসে, প্রতিশোধ নেওয়া লাগবে তখন কিন্তু সে ক্ষমা করতে চায়।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের সামনের সারির নেতৃত্ব যদি আগামীতে কোনোভাবে আহত হয়, নিহত হয় আমরা বাংলা সিনেমার শাবানার মতো আচরণ করতে পারব না, ওগো এদের ক্ষমা করো। আমরা ক্ষমা করতে পারবো না। আমাদেরও রক্ত গরম হয় আমাদেরও শরীর গরম হয়।
গণেশ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল একটি কমন প্লাটফর্ম। কিন্তু এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে কলুষিত করছে কারা? এটা আমাদের প্রশ্ন। যারা এই প্লাটফর্মকে সামনে রেখে মব সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অগণতান্ত্রিক পন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দিতে চাই। আজ থেকে ছাত্রদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, এটিকে বৈষম্যমুখী ছাত্র আন্দোলন বলবে।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। কেউ যদি এই ব্যানারকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু কঠোর অবস্থান নিতে ভুল করবো না।
ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রনেতাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সন্ত্রাসের রাজত্বকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন প্রমুখ।