ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিনেতার মৃত্যু হয়। অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বসহ একাধিক অভিনেতা ও নির্মাতা ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সানীর মারা যাওয়ার খবর অনেককেই চমকে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, কী হয়েছিল অভিনেতার?

জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শাহবাজ সানী। অভিনেতার ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষক দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক গড়া যায় না’

তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিকের একজন শিক্ষক দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরি করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আপনি প্রাথমিকের শিক্ষকদের রেখেছেন তৃতীয় শ্রেণির পর্যাদায়। সেই তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিকের একজন শিক্ষক দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরি করবেন, সেটা তো হয় না।’

আজ মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরাও আর্থিক সুবিধায় পিছিয়ে উল্লেখ করে অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, ‘একজন শিক্ষক অর্নাস-মাস্টার্সে পড়াচ্ছেন। কিন্তু আপনি তাকে এমপিও দিচ্ছেন না। যদি এমপিও না দেন, তাহলে তাকে কলেজে নিয়োগ দিলেন কেন? হয়তো ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুস নিয়ে লোভ দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখন এমপিও দিতে পারছেন না।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি। কিন্তু কোয়ালিটি (মান) নেই। কোয়ালিটির নেই কারণ কোনো মনিটরিং নেই, এখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষকও নেই। ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতনে অনার্সে পড়াচ্ছে। যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স খুলে দিয়ে বসে আছে।’

অধ্যাপক আমানুল্লাহ আরও বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে দুজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক। আপনি এখন থেকে আর কী আশা করতে পারেন? এখনও শিক্ষার্থীরা টিকে আছে, এখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাকরি পাচ্ছে। সেটাই তো অনেক বেশি।’

গণঅভ্যুত্থানে নতুন আশার সূচনা করেছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা নতুন স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে। আমাদের ভিশন ও মিশন যদি এবারও ঠিক না করতে পারি। তাহলে তো মুশকিল। আমরা আবার কবে ভিশন ও মিশন ঠিক করবো, আমি জানি না।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ