অফিস-মসজিদ-বাসায় এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা, না মানলেই লোডশেডিং
Published: 17th, February 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
সোমবার ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম বিষয়টি পর্যবেক্ষণে কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।
তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য পরিশোধে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও আমরা রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সবরকম আয়োজন নিয়েছি।
তিনি বলেন, শীতকালে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭-১৮ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদাটা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সেচ ও এসির ব্যবহার বা কুলিং লোড। সেচ যেহেতু খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাই তাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। কিন্তু এসির যে ব্যবহার, এটা যদি পরিমিত আকারে ব্যবহার করা যায়, তাহলে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন প্রত্যেকটা মসজিদে তারাবির সময় এসি ২৫ ডিগ্রিতে ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসেও এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করা হবে। এসি ব্যবহারের এ নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি টিম কাজ করবে। ক্ষেত্রবিশেষে বিদ্যুৎ বিচ্ছেদও করা হতে পারে। সেখানে শহর বা গ্রাম বিবেচনা করা হবে না। ঘোষণা দিয়েই লোডশেডিং করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ব ল ন উপদ ষ ট রমজ ন ব যবহ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ঘণ্টা পর শাহবাগ থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা
চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের ‘ব্লকেড’ (অবরোধ) তুলে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে কুয়েট শিক্ষার্থীদের গণ-অনশন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। সেই চার দফা কর্মসূচি হলো: সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাস’ বর্জনের আহ্বান, সব ক্যাম্পাসে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান পালন, সব ক্যাম্পাসে একদফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও বুধবার বিকেলে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ।
টিএসসিতে এক কর্মসূচি থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে উপাচার্যকে না সরানো হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেড’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনরাজু ভাস্কর্যে মধ্যরাতে আমরণ অনশনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ১৫ জন২১ মিনিট আগেরাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তারা ‘দালাল ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’, ‘কুয়েট ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।