প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
Published: 17th, February 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে সোমবার পাকিস্তান শাহিনস বা পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪০ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন তানজিম সাকিব (২) ও রিশাদ হোসেন (৩)।
ওপেনার তানজিদ তামিম ৬ রান করে বোল্ড হন। নাজমুল শান্ত ১২ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার আশা দিলেও ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। চারে ব্যাটিং করতে নেমে মেহেদী মিরাজ সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন।
সৌম্য ও মিরাজ আউট হওয়ার পর মিডলে মুশফিকুর রহিম ও জাকের আলী হাল ধরতে ব্যর্থ হন। মুশফিক ৭ ও জাকের শূন্য করে সাজঘরে ফিরে যান। পাকিস্তানের হয়ে ওসামা মীর একাই বাংলাদেশের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে পৈতৃক জমি নিয়ে ৪ ভাই-বোনের মারামারি, বড় ভাই নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পৈতৃক জমি নিয়ে সহোদর ভাই-বোনদের মারামারিতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মো. দুলাল মন্ডল (৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির মন্ডলের ছেলে। এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা আশকর আলী নামে এক প্রতিবেশীকে আটক করেছে।
তবে এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের। তবে দুলালের বোন হামিদা ও তাকলিমা গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের জীবিত দুই ছেলে দুলাল মন্ডল ও হেলিম মন্ডল ও দুই মেয়ে হামিদা বেগম ও তাকমিনা বেগমের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ওয়ারিশান জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে এবং আত্নীয় স্বজনরা উদ্যোগ নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।
এর মধ্যেই হঠাৎ করে বুধবার সকাল নয়টার দিকে হেলিম মন্ডল নিজের বসত-ভিটায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ কাটতে যান। এসময় বড় ভাই দুলাল মন্ডল, বোন হামিদা ও তাকমিনা গিয়ে বাধা দেন। এ নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে বোনেরা মিলে ভাইয়ের গলা চেপে ধরলে ভাই দুলাল মন্ডল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুলালের লাশ বাড়ি নিয়ে এলে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যসহ উপস্থিত হন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। দীর্ঘ সময় দুলালের লাশ উঠানে থাকলেও ময়না তদন্তের জন্য পুলিশকে বাধা দেন দুলালের পুত্র ও কন্যারা।
এক পর্যায়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে দুলালের সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দীর্ঘ সময় পর বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এসময় দুলালের সন্তানরা দাবি করেন তাদের পিতা হার্টের রোগী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস